কলকাতা: ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর অনলাইন চ্যাটও প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করতে গড়িমসি করেছেন বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। শেষ পর্যন্ত, চাপের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড করলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। (Scottish Church College)
খাস কলকাতায় কলেজের অধ্য়াপকের বিরুদ্ধে এবার পড়ুয়াকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই ওই অধ্যাপক অনলাইন মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। শুধু কথা বলা নয়, অধ্যাপক অশালীন কথা বলছিলেন, ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবও দেন বলে অভিযোগ। (Kolkata News)
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি, বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্কটিশের পড়ুয়াদের। এর পর, বুধবার ওই ছাত্রী কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তালিকা ধরে, অধ্য়াপকের সঙ্গে চ্যাটের বিশদ তথ্যও জমা দেন তিনি। তাঁকে অধ্যাপক হেনস্থা করছিলেন বলে জানান ওই ছাত্রী।
এর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলেজ চত্বর তেতে ওঠে। কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে নামেন পড়ুয়ারা। অবিলম্বে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি ওঠে। প্ল্যাকার্ড হাতে কলেজ চত্বরে স্লোগান ওঠে, 'বিচার, বিচার, বিচার চাই, আমার বোনের বিচার চাই'। আর জি কর কাণ্ডের রেশ রেখে এদিন স্কটিশেও শোনা যায় 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান।
পড়ুয়াদের কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমে জানান, স্কটিশে পৃথক জেন্ডার সেল রয়েছে। এই ধরনের যৌন হয়রানির ঘটনা তারাই সামলায়। ওই সেলের যিনি প্রধান, কলেজের অধ্যাপক, সকলের ওই ছাত্রীকে সমর্থন করা উচিত ছিল, অভিযোগ জানাতে উৎসাহ জোগানো উচিত ছিল বলে মনে করছেন পড়ুয়ারা। কয়েক মাস আগে বিষয়টি সামনে এলেও, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কেন কোনো পদক্ষেপ করা হল না, প্রশ্ন তোলেন সকলে।
এর ফলে, একরকম ভাবে চাপের মুখে পড়েই কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করেন বলে জানা গিয়েছে। আজ থেকেই সাসপেন্ড হলেন ওই অধ্যাপক। কিন্তু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, এতদিন কেন ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল না, প্রশ্ন উঠছে। অধ্যাপকদের একাংশকেও আজ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়।