অনির্বাণ বিশ্বাস ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নিয়োগের (Recruitment) দাবিতে সল্টলেকে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের (Upper Primary Agitation) এসএসসি ভবন (SSC Bhawan) অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে চলল পুলিশের (Police) ধস্তাধস্তি। টেনে-হিঁচড়ে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।


কী ঘটল?
যাঁদের স্কুলে স্কুলে পড়ানোর কথা ছিল, তাঁদেরই চাকরি চেয়ে পথে নেমে পুলিশের পা জড়িয়ে আর্তি করতে হচ্ছে। তাঁদেরই টেনে হিঁচড়ে, পাঁজাকোলা করে, প্রিজন ভ্য়ানে তুলছে পুলিশ। ৯ বছর ধরে চাকরির জন্য় অপেক্ষা চলছে। কিন্তু এখনও তা অধরাই। সুশান্ত ঘোষ নামে এক আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থী বলেন, 'কৃতকার্য হয়েও প্যানেল প্রকাশ করছে না কমিশন। চাকরি পাচ্ছে না।' এই প্রেক্ষাপটে নিয়োগের দাবিতে সাঁড়াশি অভিযানে নামলেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। করুণাময়ী ও সেক্টর ফাইভ দুই জায়গা থেকেই এদিন এসএসসি ভবন অভিযান শুরু করেন তাঁরা। 
মিছিল শুরু হতেই দুদিকেই বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৪-এ উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। ২০১৫-সালে পরীক্ষা হয়। রেজাল্ট বেরোয় ২০১৬ সালে। ২ বার ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। কিন্তু ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা। আন্দোলনরত আর এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, 'দশ বছর ধরে আন্দোলন করছি। সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই।' কবে মিলবে হকের চাকরি? আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে? এখনও উত্তর নেই কারও কাছে।


প্রতিবাদে হামাগুড়ি রাস্তায়...
এর আগে, গত জানুয়ারিতে চাকরির দাবিতে রাস্তায় নেমে হামাগুড়ি দিয়েছিলেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া ও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে ওই দিন  দুপুর ১টা নাগাদ শহিদ মিনারের ধর্নামঞ্চ থেকে হাইকোর্ট ও বিধানসভা অভিযানের ডাক দেন তাঁরা। রাস্তায় নেমে হামাগুড়ি দিয়ে মিছিলও করেন। গণ্ডগোলে এক চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনার আগে, গত নভেম্বরেও ধুন্ধুমার বেধেছিল। সে বার কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের মুখে এসে বসে পড়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। খবর পেয়েই পুলিশের টিম চলে আসে। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। টেনে হিঁচড়ে পুলিশ কর্মীরা আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরাতে চেষ্টা করেন। সেই সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তায় কার্যত শুয়ে পড়েন। জোর করে পুলিশ কর্মীরা কয়েকজন আন্দোলনকারীকে প্রিজন ভ্যানে তোলেন। পুলিশ যেহেতু প্রস্তুত ছিল না, তাই আন্দোলনকারীদের অনেককে বেসরকারি বাস ও হলুদ ট্যাক্সিতেও তুলে দেওয়া হয়েছিল।


আরও পড়ুন:হেঁটে-দৌড়ে ঝরাতে চান অতিরিক্ত মেদ? তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলো