কলকাতা: কসবার সিলভার পয়েন্ট হাইস্কুলে (Kasba Silver Point High School) দশম শ্রেণির ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের জন্য চিকিৎসকদের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এছাড়া, স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুুলিশ। ডাকা হয়েছে ফরেন্সিক দলকে। (forensic team) 


পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু: কসবার স্কুলে (kasba scholl student death) পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু হয় গতকাল।  ওপর থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু, নাকি রয়েছে অন্য কোনও কারণ? পরিবারের একের পর এক বিস্ফোরক দাবি ঘিরে বেড়েছে রহস্য। স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় FIR দায়ের করেন মৃতের বাবা। খুন ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। 


স্কুলের সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু?  যাদবপুরে হস্টেলে ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়ের মাঝেই, ফের শিক্ষাঙ্গনে এক ছাত্রের রহস্য়মৃত্য়ুর ঘটনা কার্যত ঘি দিয়েছে আগুনে! 'প্রতিশোধ' নিতে খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার! কসবার সিলভার পয়েন্ট হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল শেখ শান। তাঁর পরিবারের দাবি, সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, স্কুলের সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে শান। কিন্তু পরে আবার স্কুলের তরফে বলা হয়, ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মুকুন্দপুরের হাসপাতালে। 


উঠছে একাধিক প্রশ্ন:  হাসপাতালে পৌঁছে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান বাবা। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, ওপর থেকে পড়ে মৃত্য়ু হলে হাড় ভাঙল না কী করে? শুধু কান দিয়ে রক্ত বেরোল কেন? স্কুল থেকে ওই ছাত্রের বাড়ি ১ কিলোমিটার দূরে। সেখানে খবর দিতে স্কুলের ২ ঘণ্টা সময় লাগল কেন? স্কুলের কাছে একাধিক হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রকে মুকুন্দপুরে নিয়ে যাওয়া হল কেন? এমন একাধিক প্রশ্নেই মুড়ে রয়েছে গোটা ঘটনা।


খুনের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে যে, প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় সহপাঠীদের সামনে কান ধরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় পড়ুয়াকে। অন্য আরেকজন পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁকে ৫ তলায় নিয়ে যান শিক্ষিকারা সহপাঠীকে নেমে যেতে বলা হলেও নামতে দেওয়া হয়নি শেখ শানকে। সেখানেই তাঁকে শিক্ষিকারা মারধর করেন বলে অভিযোগ পরিবারের।  


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন! বড় নির্দেশ আদালতের