কলকাতা : ক্যালেন্ডারে এখনও আষাঢ়। আসছে শ্রাবণ। কিন্তু আকাশ দেখে ভুল হতেই পারে শরত্‍ বলে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ১ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে এই সময়ে বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ ৪৫ শতাংশ। আগামী ৫ দিনে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


চিন্তায় কৃষকরা


কম বৃষ্টির জন্য জেলায় জেলায় শুকিয়ে যাচ্ছে বীজতলা। আমন ধান রোপণের কাজ শুরুই করতে পারেননি রাজ্যের শস্যগোলা হিসেবে পরিচিত বর্ধমানের কৃষকরা। একই ছবি হুগলিতে। যে সময় ধানের জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকার কথা, সেখানে এখনও ফুটিফাটা জমি। আতঙ্কিত কৃৃষকরা বলছেন, 'বৃষ্টি নেই, তাই ধান চাষ পিছিয়ে যাচ্ছে। সেচ করে কত করবো প্রচুর খরচা। যদিও এখন সময় আছে, বীজতলা করছি, কিন্তু বৃষ্টি র অভাবে মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে। ক‍্যানেলেও জল নেই।' যদিও জেলা কৃষি দফতরের দাবি, এখনও ধান রোয়ার সময় আছে। আশঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।


একই ছবি বীরভূমেও। দেখা নেই বৃষ্টির। জলের অভাবে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের চাষিরাও। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। জয়েন্ট বিডিওর আশ্বাস, চাষিদের সমস্যার বিষয়টি দেখছে প্রশাসন।


বাঁকুড়ার জেলার বেশিরভাগ কৃষকই চাষ করেন আমন ধান। বৃষ্টির অভাবে আমনের মরসুম দেরি করে শুরু হলে উৎপাদন ঘাটতির জেরে চালের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা কৃষকদের।


বর্ষার মরশুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে উত্তর দিনাজপুরেও দেখা দিয়েছে সেচের সমস্যা। দুর্ভোগে রায়গঞ্জ ব্লকের পিরোজপুর, কর্ণজোড়া, দক্ষিণ আব্দুল ঘাটা, বোগ্রাম, বীজগ্রামের চাষিরা।


কিন্তু আগামী দিনেও যদি এরকম চলতে থাকে তাহলে কী হবে আমন চাষের? ভেবে পাচ্ছেন না কৃষকরা।


আরও পড়ুন- চাকরির নামে ‘প্রতারণা’, এবার তৃণমূল বিধায়ককেই রাজ্য পুলিশের তলব