কলকাতা: অগাস্টেই কি পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে? এই নিয়ে রাজনৈতিক বাগযুদ্ধের আবহেই, সম্প্রতি বুথ লেভেল অফিসার বা BLO-দের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বলেছিলেন, 'মনে রাখবেন আপনারা চাকরি করেন রাজ্য সরকারের। কোনও মানুষকে অযথা হেনস্থা করবেন না।' এবার BLO-দের মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি নিয়ে, এবার রাজ্যসভায় নোটিস জমা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন, 'একলাফে পুজো অনুদান বাড়ল ২৫ হাজার টাকা , ঘুষ দিয়ে লাভ নেই..' ! খোঁচা শুভেন্দুর
শমীক ভট্টাচার্য তিনি নোটিস জমা দিলেন এই মর্মে যে, নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সাংবিধানিক সঙ্কটের জন্ম দেয়। নোটিসে উল্লেখ করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের পক্ষ থেকে, নির্বাচন কমিশনের কতৃত্ব নিয়ে, খোলামেলা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সংবিধানের ৩২৪ নং অনুচ্ছেদে, নির্বাচন কমিশনে দেওয়া, সাংবিধানিক সায়ত্তশাসনের উপর এটা আক্রমণ। এমন আক্রমণাত্বক বিরোধী থাকলে, স্বচ্ছ ভোটা তালিকার তৈরির ক্ষেত্রে, প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দেয়। বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নিয়ে তৈরি, ভোটব্যাঙ্ক আড়াল করে রাখার চেষ্টা চলছে। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ভোটের ফল প্রভাবিত করাই এর উদ্দেশ্য, অবিলম্বে রাজ্যসভায় এই বিষয়ে আলোচনা হোক। দাবি শমীকের।
এদিন শমীক বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আগামী যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে ভোটার লিস্ট যেনও ত্রুটিমুক্ত থাকে। জেহাদি মুক্ত, রোহিঙ্গা মুক্ত, মৃত ভোটার মুক্ত ভোটার লিস্ট। এবং সেক্ষেত্রে, যেভাবে প্রকাশ্যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি আজকে জেলাশাসককে বলছেন, BLO-দের উদ্দেশ্যে তিনি যেটা বার্তা দিয়েছেন, সেই জন্য BLO-রা ভীত-সন্ত্রস্ত। ..এভাবে যদি তাঁরা চাপের মধ্যে থাকেন, এভাবে যদি ভবিষ্যতে তাঁদের জীবন সংশয় হয়, তার জন্য কে দায়ী থাকবে ? একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে, যে কোনও মূল্যে, এধরণের ভুয়ো ভোটারদের নিয়েই, পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থবারের জন্য নির্বাচনী বৈতরিণী পার হওয়া।'
মূলত, সম্প্রতি, BLO-দের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেছিলেন,' মনে রাখবেন নির্বাচন কমিশন তার নোটিফিকেশন যখন হবে, ডেট অফ ইলেকশন তখন থেকে এটা ইলেকশন কমিশনের আন্ডারে যায়। তার আগে রাজ্য সরকার। আবার নির্বাচনের পরেও রাজ্য সরকার। সুতরাং এটা মনে রাখবেন আপনারা চাকরি করেন রাজ্য সরকারের। কোনও মানুষকে অযথা হেনস্থা করবেন না। একটা লোক ৪ দিন গিয়ে এল, তখন হয়তো সে একটা কোথাও ঘুরতে গেছে। তাই বলে আপনি তার নামটা বাদ দিয়ে দেবেন। আপনাকে দেখতে হবে তার অরিজিনাল অস্তিত্ব আছে কিনা। '