কলকাতা: শিক্ষকের পাশাপাশি অন্য়ান্য় রাজ্য় সরকারি চাকরির জন্য়ও, কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন ধৃত শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Shantanu Banerjee)। ইডি-র চার্জশিটেই এমন চাঞ্চল্য়কর দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন কলেজকে অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নিতেন ধৃত কুন্তল ঘোষ।


চার্জশিটে কী দাবি ইডির?  বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলও নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। এই অয়ন শীল আবার স্কুলের পাশাপাশি পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। ইডি-র চার্জশিটেও দাবি করা হয়েছে শুধু শিক্ষক নয়, অন্যান্য সরকারি চাকরির জন্য কোটি কোটি টাকা নেন শান্তনু। অন্য়দিকে, কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধেও চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ সামনে এসেছে ইডি-র চার্জশিটে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কলেজকে অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার নামেও টাকা তুলতেন বহিষ্কৃত এই যুব তৃণমূল নেতা।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, গোঘাটে স্বামী বিবেকানন্দ কলেজ অফ এডুকেশন নামে একটি কলেজ রয়েছে। সেই কলেজের জন্য NCTE-র অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। ইডি-র চার্জশিট অনুযায়ী, কলেজের সভাপতি জানিয়েছেন, NOC-র জন্য তিনি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। NOC পাইয়ে দিতে কুন্তল ঘোষ তাঁর কাছে ১০ লক্ষ টাকা চান।  কুন্তলের অ্য়াকাউন্টে সেই টাকা পাঠানো হয় RTGS-এর মাধ্যমে। এরপরই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়ে যায় কলেজটি। ইডি-র চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিকে ৩ জনের চাকরি করিয়ে দেওয়ার জন্য় ফের কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই কলেজ সভাপতি। চাকরি করিয়ে দেওয়ার জন্য় অগ্রিম ৩০ হাজার টাকা এবং নিয়োগের পর প্রার্থীপিছু ৭ লক্ষ টাকা করে চান কুন্তল।

ইডি-র চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, এরপর এক প্রার্থীর জন্য় কুন্তলকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হলেও, পরে তালিকায় সেই প্রার্থীর নাম ওঠেনি বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি ইডি-র চার্জশিটে অসংখ্য় এজেন্টেরও হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্য়ে সৎ রঞ্জন ওরফে বাগদার চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ইডি-র চার্জশিট অনুযায়ী,  নিয়োগ দুর্নীতির চক্রে এরকম আরও অজস্র সৎ রঞ্জন অর্থাৎ এজেন্ট ছিলেন। চার্জশিটের ৩১ ও ৩২ নম্বর পৃষ্ঠায় তালিকা আকারে সেই এজেন্টদের নাম দিয়েছে ইডি।ইডি-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে যে নথি পাওয়া গেছে সেখানে সব এজেন্টের নাম রয়েছে। কুন্তল জানিয়েছেন, প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য় জোগাড় করে দিতেন তাপস মণ্ডল।


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: রিষড়ার অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট