কলকাতা: বিহারের পর ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় নিবিড় (SIR) সংশোধনের (SIR) প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেই নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই বিতর্ক উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শরণার্থীদের তিনি জানালেন, SIR-এ নাম কাটা গেলে ভয়ের কিছু নেই। তিনি ভোটার কার্ড করে দেবেন। (Shantanu Thakur on SIR)
SIR নিয়ে শরণার্থীদের আশ্বস্ত করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন শান্তনু। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “SIR নিয়ে আপনারা বিভ্রান্তিতে আছেন। আগে নাগরিকত্বের আবেদন করুন। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, যাঁরা সশরীরে এসেছেন বাংলাদেশ থেকে, তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করুন। SIR-এ একবারের জন্যও যদি নাম কাটা যায়, নাগরিকত্ব পাওয়ার পর আবার ভোটার তালিকায় নাম উঠবে। আপনার ভয় পাওয়ার কিছু নেই।” (Sir in West Bengal)
শান্তনু আরও বলেন, “যারা ওপার থেকে আসা উদ্বাস্তু, রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি মুসলমান নয়, ভুতুড়ে ভোটার নয়…ওপার থেকে আসা উদ্বাস্ত যাঁরা, চটজলদি CAA আবেদন করুন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। নাগরিকত্ব পেলে আবার ভোটার কার্ড করে দেওয়া হবে। আর ভোটার কার্ড না হলে, সব আমার কাছে আসবেন, আমি করে দেব ভোটার কার্ড।”
শান্তনুর এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে চলেছে মতুয়া সম্প্রদায়ের। সেটা বুঝে গিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। বলার চেষ্টা করছেন যে, SIR-এর বাদ গেলে CAA দিয়ে ঢোকাবেন। আবার ক্যাম্প করবেন। এটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল পাশে আছেন। সকলে বুঝতে পারছেন, যে যে ক্রাইটিরিয়ায় বাদ দেওয়া হচ্ছে, তাতে মতুয়া সম্প্রদায়ের উপর…ওঁরা শুধু মুসলিম মুসলিম করছেন তো! অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বিপুল আঘাত আসতে চলেছে। সবথেকে বেশি ওঁরা বুঝতে পারছেন।”
যদিও আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল চিৎকার করছে, ‘SIR করতে দেব না’। নির্বাচন কমিশন কিছুদিনের মধ্যে শুরু করতে চলেছে। দেখি কেমন বাপের ব্যাটা। গোটা দেশে SIR হবে। কোনও মাঈ কা লালের ক্ষমতা নেই সেটা আটকাবে। ভয়ের কী আছে? কেউ ভয় পাবেন না। SIR-এ হিন্দু-মুসলিম কিছু নেই। হিন্দু হোক বা মুসলমান, ভারতীয় হলে ভোটার তালিকায় নাম থাকবে।”