সুজিত মণ্ডল, শান্তিপুর : আগামী ৩০ অক্টোবর শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই উপলক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। সেইমতো বিজেপির হরিণঘাটার বিধায়ক কবিয়াল অসীম সরকার দলের প্রচারে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছেন। পথসভা হোক কিংবা জনসভার শুরুতে তিনি কবি গানের মাধ্যমে সভাস্থলে লোকসমাগম বাড়াতে চাইছেন, মানুষকে একত্রিত করতে চাইছেন। গানের মাধ্যমে শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের হয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
তিনি গানের কথায় বলছেন, “আমি আগে কবি অসীম সরকার। আগে আমি প্রেমের পূজারি। তারপর কোনও এক দলের বিধায়ক। তাই আমার গান সেই হরিনামের, প্রেমের তুফান। ক্ষ্যাপা রে, পাগল রে। গেছে বহুদূর। সেই প্রেমেরই আধার হল মোদের শান্তিপুর…এখানে কিন্তু তৃণমূল সরকারই থাকবে। কিন্তু আপনারা যদি ভোটটা দিয়ে নিরঞ্জন বিশ্বাসকে জয়লাভ করিয়ে দেন, তাহলে সারা বাংলায় একটা বার্তা যাবে শান্তিপুরবাসী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। তারা সন্ত্রাস চায় না। শান্তি চায়। তাই মা-বাবারা পদ্মফুলে ভোট দিও সবাই…।”
অসীম সরকার বলেন, আমিও বিজেপির একজন বিধায়ক। আমি চাইব, শান্তিপুরের এই আসনটি আগে জয় ছিল, এখনও জয় হোক। তার জন্য দলের গাইডলাইন মেনে আসতে হয়েছে। আমার কাজ আমি করছি। এমন কথা বলব না যে, আমার জন্যই লোক জড়ো হচ্ছে। আমি আসাতে খানিকটা শুকনো মুড়ির মধ্যে যেমন দুধ দিলে বেশ মাখাতে সুবিধা হয়, সেই দুধের কাজটা করছি।
যদিও বিজেপি বিধায়কের এধরনের প্রচারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের রাণাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রত্না ঘোষ কর বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ওদের রাজ্য স্তর, সর্বভারতীয় নেতৃত্বরা মিটিং করতে আসছেন। কিন্তু এমনই দুর্ভাগ্য যে ২০০টি চোঙ লাগিয়েও, বড় নেতা এসে পঞ্চাশটা লোক জড়ো করতে পারছেন না। সেখানে ওঁদের দলেরই বিজেপির বিধায়ক কবিগান করেন। অসীম সরকার, তাঁদের রাজনৈতিক সভায় গিয়ে কবিগান শুরু করছেন। ভাবছেন, কবিগান করে কিছু মানুষ জমায়েত করা যায় কি না ! তারপর বাকি নেতারা বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু এমনই দুর্ভাগ্য, কবি গান শোনার জন্য বিজেপির মঞ্চের কাছাকাছি এলাকার মানুষ আসতে চাইছেন না। এ থেকে প্রমাণ হয় শান্তিপুরের মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই নির্বাচনের পর বিজেপির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।