কলকাতা: ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা FCI-এর কাছে যে বরাত আসত, সেই অনুযায়ী গম পৌঁছে যেত মিলে। ধৃত বাকিবুর রহমানও যেমন একজন গম মিলের মালিক।  ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, লিখিতভাবে যত পরিমাণ গমের বরাত দিতেন ডিস্ট্রিবিউটাররা, তার থেকে অনেকটাই কম পরিমাণে গম পাঠানো হত। মোট বরাতের প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গম, সরিয়ে ফেলা হত! যা পরে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছিল। 


ডিস্ট্রিবিউটাররা আটার বরাত দিতেন বাকিবুরের গমের মিলে কিন্তু, গম ভাঙিয়ে সেখান থেকে আটা ফিরত কম পরিমাণে। বাকি আটা খোলা বাজারে বিক্রি করা হত। মূলত এইভাবেই রেশন দুর্নীতি হয়েছিল বলে ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। একাধিক মিল, হোটেল, রেস্তোরাঁর মালিক। বাকিবুরের এই উত্থানের নেপথ্যে কারণ কী? জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। 


গ্রেফতার বাকিবুর রহমান: রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায়, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ED.কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মূলত আটার বন্টন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছিল। কিন্তু, কীভাবে হয়েছিল সেই দুর্নীতি? ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা FCI-এর কাছে যে বরাত আসত, সেই অনুযায়ী গম পৌঁছে যেত মিলে। ধৃত বাকিবুর রহমানও যেমন একজন গম মিলের মালিক। ডিস্ট্রিবিউটাররা আবার মিলের কাছে আটার বরাত দিতেন। আর এখানেই দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, লিখিতভাবে যত পরিমাণ আটার বরাত দিতেন ডিস্ট্রিবিউটাররা, তার থেকে অনেকটাই কম পরিমাণে গম ভাঙিয়ে আটা পাঠানো হত। 


মোট বরাতের প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ, সরিয়ে ফেলা হত! যা পরে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছিল। ED সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাকিবুরের বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি ছিল। অনেক প্রশ্নের সদুত্তর না মেলায়, গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। একাধিক মিল, পানশালা ও হোটেলের মালিক বাকিবুর। এত সম্পত্তি তাঁর হল কীভাবে? এই উত্থানের পিছনে রহস্য কী? নেপথ্যে কোনও প্রভাবশালীর হাত রয়েছে কি? সূত্রের খবর, ধৃতকে জেরা করে এই সমস্তকিছু জানার চেষ্টা চালাবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন:  Jalpaiguri: বোনাস-অসন্তোষে বন্ধ চা বাগান, পুজোর কর্মহীন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক