দুর্গাপুর: এবার আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার নিশানায় বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আগেই দুর্গাপুরে সভা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তারপরে তৃণমূলের পাল্টা সভা থেকে বিজেপি এবং মিঠুন চক্রবর্তীকে নিশানা করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। 


এর আগে বিজেপির তরফে অভিযোগ ছিল, সাংসদ হওয়ার পরে এলাকায় দেখা যায় না শত্রুঘ্ন সিনহাকে। তা নিয়েই এদিন মুখ খোলেন সাংসদ। তিনি বলেন, 'প্রতি মাসে দুবারের বেশি আমি আমার লোকসভা কেন্দ্রে আসি। ছটপুজোয় ছিলাম। দুর্গাপুজোয় ১৬ দিন ছিলাম। তার আগে ইদেও ছিলাম।' ট্রেডমার্ক ডায়লগও ব্যবহার করতে দেখা যায় অভিনেতা-সাংসদ  শত্রুঘ্ন সিনহাকে। তিনি বলেন, 'বলব খামোশ, এরকম বলো না।' পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, 'মিঠুন নতুন, ভাল ছেলে, ছোট ভাই।'


মিঠুন বারবার দাবি করেছন, তৃণমূলের একাধিক নেতা-বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পুরুলিয়া,বাঁকুড়ার পরে দুর্গাপুরের সভাতেও তিনি এ কথা বলেন। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মিঠুন দাবি করেছেন, '২১ জন নন, বরং তার থেকেও বেশি তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন।' এঁরা কারা ? কী তাঁদের নাম ? মিঠুনের জবাব, তিনি চাইলেই নাম বলতে পারেন। তাঁর যথাযোগ্য  প্রমাণও রয়েছে।  'আমি ব্যাক আপ ছাড়া কথা বলি না... তাঁরা আছেন, স্ট্রংলি আছেন '। তবে, তাঁদের নাম তিনি আপাতত সামনে আনবেন না। এই ইস্যুতেও মিঠুনকে নিশানা করেছেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, 'কেউ বলছেন দিদিকে ধরে উনি তৃণমূল কংগ্রেসে আসার চেষ্টা করেছেন।'


মিঠুনের অনুব্রত মন্তব্য:
সম্প্রতি জেলবন্দি বীরভূম তৃণমূলেরর সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে 'বাঘ' বলে সম্বোধন করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বীরভূমে দাঁড়িয়েই তার পাল্টা কটাক্ষ করেছেন মিঠুন। তিনি বলেন, 'কাউকে বাঘ বলছেন বলুন, কিন্তু মানুষকে অপমান করবেন না।'


দুর্গাপুরের সভায় 'ক্ষোভ':
দুর্গাপুরের সভাতেই মিঠুনের (Mithun Chakraborty) কাছে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা (BJP Leader)। মিঠুনের সামনেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন কর্মীরা। দলে থেকেও অনেকে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন। ভোটের পর নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই পাশে না থাকার অভিযোগও ছিল কর্মীদের। জেলা সভাপতিকে মঞ্চে ডেকে কর্মীর পাশে থাকার নির্দেশ দেন মিঠুনের। পাশাপাশি, ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলকে হারাতে মহাজোটের সওয়াল করেছিলেন মিঠুন। তিনি বলেছিলেন,  ‘তৃণমূল যখন সরকারে এসেছে, তখন সবাই সিপিএমকে হারাতে একজোট হয়েছিল। কংগ্রেস, তৃণমূল, এমনকি অস্বীকার করে লাভ নেই বিজেপিও সমর্থন দিয়েছিল। এখন এমন একটা শক্তিকে হারাতে গেলে, সবার একসঙ্গে আসা উচিত। মতাদর্শগতভাবে আমরা আলাদা হতে পারি, থাক সেই জায়গাটা। আমাদের সবাইকে অবশ্যই একজোট হতে হবে।'


আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় বাড়ি পেতে 'কাটমানি', পোস্টারে ছয়লাপ চন্দ্রকোণা