কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট সন্ত্রাস হয়েছে, এমনই অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের বর্ষপূর্তির অভিযোগে ফের পথে নেমেছে বিজেপি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প যাত্রার নাম দিয়ে মিছিল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল। মিছিলে সামিল সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বর্তমান সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আক্রমণ নিশানা করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ''২ মে-র পর যে ভোট সন্ত্রাস হয়েছে, সেই সন্ত্রাস আগে অন্য কোনও ভোটে হয়নি। ২৫ হাজার দোকান ও ঘর লুঠ হয়েছে। নন্দীগ্রামের দেবব্রত মাইতি খুন হয়েছেন। বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। উদয়ন গুহ, অনুব্রত মণ্ডল, শতকত মোল্লাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ হাজার এফআইআর হয়েছে। শিখ দাঙ্গার ১৫ বছর পর কংগ্রেস নেতার যদি জেল হয়। তাহলে ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্তদের কেন জেল হবে না ?''


শুভেন্দু অধিকারী আর কী বলছেন?


বিরোধী দলনেতা তাঁর ভাষণে আরও বলেন, ''বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, বাংলাকে ভয়মুক্ত করবেন। ২১৩ আসনে জিতেও শান্তিতে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। পাশে থাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ‍বাধ্য করাবে বঙ্গ বিজেপি। ৮ মে নন্দীগ্রামে স্বৈরাচারী শাসকের পরাজয়ের বর্ষপূর্তি পালন। ১১ মে দেউচা পাঁচামি যাব, সঙ্গে থাকবেন সুকান্ত।


আজ কলকাতায় বিজেপির (BJP) মহামিছিল। কর্মসূচির নাম, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প মিছিল। দুপুর ২টোয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত হাঁটবেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। শিয়ালদা ষ্টেশনে একে একে জমায়েত হতে শুরু করেছে বিভিন্ন জেলার বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, “এক বছর আগে এই দিন থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছিল। এবং আমাদের প্রায় ৬৮ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের জল্লাদ বাহিনী। সমস্ত শহিদ পরিবারদের নিয়ে আজ এই মিছিল করব। ১১ তারিখ পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি আছে, তারই শুভ সূচনা আজ এই মিছিল দিয়ে।”