নয়া দিল্লি: দেশে বিদ্যুত্সঙ্কট নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাড়িতে বৈঠক হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন রেলমন্ত্রী (Rail Minister), বিদ্যুত্মন্ত্রী, কয়লামন্ত্রী। বিভিন্ন তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রে মজুত কয়লা কমে আসার খবরে আগেই তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। কয়লা পৌঁছে দিতে ধাপে ধাপে যাত্রীবাহী ট্রেন (Train) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল (Indian Railway)।
কী পরিস্থিতি?
প্রসঙ্গত, এই গরমে দেশে বিদ্যুত্-এর চাহিদা সর্বোচ্চ। গতকাল দেশে বিদ্যুত্-এর চাহিদা ছিল ২ লক্ষ ৭ হাজার ১১১ মেগাওয়াট। দুপুর ২.৫০ মিনিট নাগাদ এই চাহিদা তৈরি হয়। শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং দেখা গিয়েছে। এমনিতেই বরাবরই এপ্রিলে বিদ্যুত্-এর চাহিদা বেশি থাকে।
আরও পড়ুন, তীব্র ঝাঁকুনিতে ছিঁড়ল সিটবেল্ট, ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানে ঝাঁকুনি; দেখুন অন্ডালের সেই ভিডিও
এবার সমস্যা বাড়িয়েছে বিদ্যুত্কেন্দ্রগুলিতে মজুত কয়লার অপ্রতুলতা। ১০ দিনের কয়লা মজুত আছে বিদ্যুত্কেন্দ্রগুলিতে, জানিয়েছেন মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বিদ্যুত্কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পৌঁছে দিতে ট্রেনের সংখ্যায় কাটছাঁট। মোট ৬৫৭টি ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। বেড়ানোর মরশুমে ৫০৯টি মেল বা এক্সপ্রেস বাতিলের সিদ্ধান্ত। বাতিল করা হয়েছে ১৪৮টি মেমুও।
সরব রাহুল গাঁধী
এদিকে, বিদ্যুত্ ও কয়লা সঙ্কটের জেরে যখন দেশের সামনে অশনি সঙ্কেত, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। তিনি ট্যুইটে লেখেন, বিদ্যুত্ সঙ্কট, কর্মসংস্থানের সঙ্কট, কৃষকদের সঙ্কট, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্কট। কীভাবে বিশ্বের সবথেকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা অর্থনীতিকে ধ্বংস করা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির ৮ বছরের অপশাসনে তার আদর্শ কেস স্টাডি।