কলকাতা : ধর্মকে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা ভারতে নতুন নয়। কিন্তু এখন যেমন খুল্লমখুল্লা ধর্ম আর রাজনীতিকে মিশিয়ে ব্য়বহার করা হয়, তা অবশ্য় আগে ছিল না। বলছেন বিশেষজ্ঞরাই। ধর্ম নিয়ে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে রামনবমীকে ১ কোটি হিন্দুকে পথে নামার ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী । 

বিধানসভার পর এবার ফের ধর্মীয় ইস্যুতে সরব শুভেন্দু অধিকারী।  রামনবমীতে এক কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর ডাক, 'এবার গোটা বাংলায় এমনভাবে রামনবমী পালন করতে হবে। যাতে হিন্দু বিরোধী শক্তিদের মুখের উপর জবাব দেওয়া যায়, ভাল করে রামনবমী পালন করুন, আমিও থাকব মাঠে'।

শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'গতবার ৫০ লক্ষ হিন্দু নেমেছিল, এক হাজার মিছিল হয়েছিল। এবার ২ হাজার মিছিল হবে, এক কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবে । কোনও অনুমতি নেবেন না।  হিন্দু তার উৎসব করবে, আমাদের দায়িত্ব শান্তিপূর্ণভাবে করার' গতবছরও ভোটের মুখে  রামনবমী পালন ঘিরে চড়ছিল রাজনীতির পারদ।  রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্ন ভাবে নানা অশান্তি হয়েছিল রাজ্যে। তাই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও চরমে ওঠে। এবার রাম নবমীর মাসাধিক কাল আগে থেকেই রামনবমী পালনের ডাক দিলেন শুভেন্দু।  এই বছর হিন্দু , মুসলমান ইস্যুতে বিধানসভা উত্তপ্ত হয়েছে। বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন বিধায়করা।  শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দেন ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের যে মুসলিম বিধায়করা জিতবেন তাঁদের চ্যাংদোলা করে ছুড়ে ফেলবেন! তাঁর এই মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতে, FIR করা উচিত বলে বুধবারই মন্তব্য করেন, তৃণমূল বিধায়ক ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ! এর মধ্যে আবার চরমে ওঠে  শুভেন্দু ও হুমায়ুন কবীরের বাগযুদ্ধ। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ করা না হলেও, একাধিক থানায় অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে ক্রমেই চড়ছে রাজনীতিতে ধর্মযুদ্ধের পারদ।  

শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস বলতেন, ' আমি যার যা ভাব তার সেই ভাব রক্ষা করি। বৈষ্ণবকে বৈষ্ণবের ভাবটি রাখতে বলি, শাক্তকে শাক্তের ভাব। ...আমি সব ভাবই কিছু কিছু করেছি—সব পথই মানি।' পরমহংস দেবের এই বাণী কি মানতে পারবে বাংলা ? নাকি রোজই পারদ চড়বে ধর্মীয় ইস্যুতে ?  

আরও পড়ুন :

কাশির সিরাপ থেকে প্রেসারের ট্যাবলেট, জাল আর জাল! আপনার পরিচিত আর কোন ওষুধ ডাহা ফেল?