সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: এসটিএফের (STF) জালে জীবন সিংহ ঘনিষ্ঠ দুই সক্রিয় কে এল ও জঙ্গি। ধৃতরা উত্তম রায় এবং নির্মল দাস। দুজনেই অসমের কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা বলেই খবর। মঙ্গলবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের ১২ দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতদের সঙ্গে জীবন সিংহের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। তারা উত্তরবঙ্গে জাল বিস্তারেও সচেষ্ট হয়েছিল বলেই খবর। 


জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জুন মাসের শুরুর দিকে অসমের কোকরাঝাড়ে এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অপরাধে তাদের গ্রেফতার করে কোকরাঝাড়ের শেরফাংগুড়ি থানার পুলিশ। এরপর থেকে ধৃতরা কোকরাঝাড় জেলেই ছিল। অন্যদিকে, সাম্প্রতিককালে শিলিগুড়িতে গ্রেফতার কেএলও জঙ্গিদের সূত্র ধরেই উত্তম এবং নির্মলের নাম পায় এসটিএফ। সেই সূত্র ধরেই একাধিকবার কোকরাঝাড় জেলে পৌঁছোয় এসটিএফ। জেলেই ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয়। এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতরা মূলত সংগঠনের সদস্য নিযুক্তির কাজ দেখত৷  এছাড়াও অর্থ সংগ্রহের কাজ করত। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গেও জাল বিস্তারে সচেষ্ট হয়েছিল ধৃতরা।


মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন জীবন সিংহ


কয়েক দিন আগেই জীবন সিংহের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুমুল আক্রমণ করলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ।


কেএলও নেতা জীবন সিংহের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি ও অবাঙ্গালির মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন। পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন তিনি। কলকাতার নেতাদের দালালি করছেন কিছু স্থানীয় নেতা, তাঁদেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।      


কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রধানের বক্তব্য ভাইরাল হওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। আলাদা রাজ্যের বিরোধিতা করায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের উত্তরবঙ্গ ছাড়া করার হুমকিও দেন কেএলও প্রধান।


উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন কেএলও নেতা জীবন সিংহ। আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ি সফরের আগে এই হুমকি দিয়েছিলেন কেএলও নেতা। সেবার পৃথক কোচ কামতাপুর রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন KLO’র প্রধান জীবন সিংহ। ভাইরাল ভিডিওয় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মধ্যেই প্রাথমিকে রদবদল, সরিয়ে দেওয়া হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সদস্যদের