বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে (Extra Marital Affairs) জড়িয়েছে। এই সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। তাই স্ত্রী-কে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দিলেন ক্যানেলে। তবে গল্পে রয়েছে আরও নাটকীয়তা। স্ত্রীর দেহ ফেলে দেওয়ার পর শ্বশুরের সঙ্গে নিজেই থানায় গিয়ে স্ত্রী-র নামে নিখোঁজ ডায়েরি করলেন এক ব্যক্তি। যদিও পুলিশের জেরায় খুনের কথা শিকার করেছে সে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়িতে। গোটা ঘটনাটি মনে করাচ্ছে গত বছর দিল্লিতে ঘটে যাওয়া শ্রদ্ধা ওয়াকার ঘটনার কথা। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় পুলিশের জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত স্বামী। এরপরই ক্যানেলে শুরু হয়েছে দেহ খোঁজার কাজ। ঘটনায় রীতিমতো হতবাক পুলিশ থেকে শহরবাসী। শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৪২নম্বর ওয়ার্ডের প্রকাশ নগরের বাসিন্দা রেনুকা খাতুন। ছয় বছর আগে তাঁর ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনির বাসিন্দা আনসারুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। পেশায় আনসারুল একজন রঙ মিস্ত্রী। ওই দম্পত্তির একটি শিশুও রয়েছে। জানা গেছে মাসখানেক আগে রেনুকা শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় বিউটিশিয়ান কোর্সে ভর্তি হয়। রেনুকা বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। এরপর থেকেই আনসারুলের সন্দেহ জাগে মনে যে রেনুকা হয়ত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় রেনুকা। ২৫ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় শ্বশুরের সঙ্গে গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে আনসারুল। এরপরই তদন্তে নামে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে আনসারুলের উপর সন্দেহ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি পেলে তাঁকে আটক করে ও জেরা শুরু করে। শেষমেশ জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে আনসারুল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় আনসারুল জানায়, ২৪ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রীকে নিয়ে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির গোয়ালটুলি মোড়ের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে খুন করে। এরপর দেহ লোপাটের জন্য মাথা শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেয় এবং দুটি আলাদা বস্তায় ঢুকিয়ে ক্যানেলে ভাসিয়ে দেয়। এই খবর পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফুলবাড়ির গোয়ালটুলি এলাকায় শুরু হয় দেহ খোঁজার কাজ।

আরও পড়ুন: বাংলা নয়, ২য় বার হামলা বিহারে, জানাল কেন্দ্রই, ‘বন্দে ভারত’ রাজনীতিতে মুখ পুড়ল বিজেপি-র!