সনত্ ঝা, বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: শিলিগুড়ির রানা বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই প্রায় ৭০টি বাড়ি (Siliguri Fire)। দমকলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। অভিযোগ অস্বীকার করেছে দমকল কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান (Slum Burned Down)।
রানা বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই প্রায় ৭০টি বাড়ি
দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, লেলিহান শিখা গিলে খাচ্ছে একের পর এক বাড়ি, কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে চারপাশ। পুড়ে ছাই প্রায় ৭০টি বাড়ি। শনিবার সন্ধেয় এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে শিলিগুড়ির ক্ষুদিরাম পল্লির রানা বস্তিতে। সেখানে একটি গোডাউনে আগুন ধরে যায়। গোডাউনটি ছিল একটি ডেকরেটর সংস্থার।
শনিবার সন্ধেয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হইচই পড়ে যায় চারিদিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন। ওই এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় নিমেষে একের পর এক বাড়ি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুনের লেলিহান শিখা। কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্য দমকলকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর দেওয়া হলেও অনেক দেরিতে আসে দমকল। শিলিগুড়ির রানা বস্তির এক বাসিন্দা জানান, প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। তার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শেষ মেশ দমকলের ন'টি ইঞ্জিন প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। কিন্তু তত ক্ষণে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে প্রায় ৭০টি বাড়ি।
আরও পড়ুন: Coochbehar : কোচবিহারের হেরিটেজ কমিটিতে নাম নেই স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের ! সরব জেলার গেরুয়া শিবির
অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। দমকলের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অশোকবাবু বলেন, "পাঁচ বার ফোন করলেও ফোন এনগেজ ছিল দমকলের। প্রথমে যদি দমকল একটা ইঞ্জিন না পাঠিয়ে বেশি পাঠাতো, তাহলে এতো বড় হত না। নিঃস্ব গরিব এদের স্থায়ী বাড়ির দাবি জানাই কর্পোরেশনকে।"
যদিও শিলিগুড়ির ডিভিশনাল ফায়ার অফিসারের দাবি, দেরি হয়নি। সময় মতোই দমকল পৌঁছেছে। প্রথমে দু'টি ইঞ্জিন ছিল। পরে আরও সাতটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়।
এ নিয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, "রাজনীতি ভুলে গিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে, সেটা সবাইকে দেখতে হবে।" শিলিগুড়ি ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মিলি সিন্হা বলেন, "২৪ তারিখ মেয়র গৌতম দেব ফিরবেন।মেয়র এলে অবশ্যই পুনর্বাসন দেওয়া হবে। ততদিন থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা করব।"
পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রশাসনের তরফে
কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে এই মুহূর্তে দিশেহারা প্রায় ৭০টি পরিবার। প্রশাসনের আশ্বাস মিলেছে। সে আশ্বাস পূরণ হবে তো? আশা-আশঙ্কায় ঘর হারারা।