সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: পরিষেবা পাচ্ছে না মানুষ। তাই দ্রুত হোক পুরভোট। এই দাবিতে শিলিগুড়িতে পথে নামল বামেরা। সই সংগ্রহ করলেন অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকাররা। একই দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি, কংগ্রেসও। পরিষেবা বন্ধ নেই। পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল। 


বৃহস্পতিবার বিকেলে তখনও ভোট চলছে ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে। অন্যদিকে, ওই সময়ই দ্রুত পুরভোট করার দাবিতে শিলিগুড়িতে পথে নামল বামেরা। পুরভোটের পাশাপাশি, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে ভোটের দাবিতে সই সংগ্রহ অভিযান করে তারা। শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'ভবানীপুরে ভোট না হওয়ায় নাকি সাংবিধানিক সঙ্কট হচ্ছে। কিন্তু পুরসভা, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট না হওয়ায় সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না। তাই রাস্তায় নেমে আসা।'


রাজ্যে ১২৫টি পুরসভার মধ্যে ১১২টির মেয়াদ ফুরিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে শিলিগুড়িও। বামেদের পাশাপাশি দ্রুত পুরভোটের দাবি তুলেছে বিজেপি, কংগ্রেসও। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, 'পঞ্চায়েত পুরসভা জনপ্রতিনিধি নেই, দেখার লোক নেই। সামাজিক সঙ্কটও তৈরি হয়েছে। পুজোর পরই শিলিগুড়িতে বিজেপি নামবে।' দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, 'ভবানীপুরে যদি সাংবাধিক সঙ্কট হয়, তাহলে রাজ্যে ১২৫টি পুরসভা ভোট না হওয়ায়, পিছনের দরজা দিয়ে সরকার লোক রেখে কুক্ষীগত করে রেখেছে। মানুষের হাতে ক্ষমতা নেই।'


বর্তমানে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক, তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শাসকদল পাল্টা দাবি করছে, পুরভোট না হলেও পরিষেবা থেমে নেই। তৃণমূল নেতা রঞ্জন সরকার বলেন, 'এদের এতো মাথাব্যথা, তাড়াহুড়ো কেন। রেস্ট নিক। পরিষেবা মানুষের কাছে ঠিক পৌঁছে যাচ্ছে। উপনির্বাচন বিজেপি করতে দিচ্ছিল না। ভোট ঠিক সময়ে হয়ে যাবে। এদের হাতে কী প্রার্থী আছে? ভোট নিয়ে ভাবছেন কেন?'


রাজ্যের বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর পুরসভা কবে হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।


আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি, ডিভিসির ছাড়া জলে দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা