'এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভোটারদের প্রভাবিত করেছে ফিরহাদ ও সুব্রত,' কমিশনে নালিশ বিজেপির

বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাইল কমিশন। 

Continues below advertisement

কলকাতা: ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানাল বিজেপি। এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত নজরবন্দি করে রাখার দাবি বিজেপির। ভবানীপুরের বাইরে নজরবন্দি করে রাখার দাবি বিজেপির। কোনওদিন কোনও অনৈতিক কাজ করিনি, প্রতিক্রিয়া ফিরহাদ হাকিমের। নালিশ করলে পালিশ করে দেব, বিজেপিকে পাল্টা তোপ মদন মিত্র। বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাইল কমিশন। 

Continues below advertisement

উল্লেখ্য, ভোটের দিন সকালে ভবানীপুরের ভোটারদের কাছে ট্যুইটারে আবেদন জানিয়ে বিতর্কে জড়ান দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিমের ট্যুইট, 'ভবানীপুরের বাসিন্দাদের অনুরোধ করছি, উন্নয়ন ও সমানাধিকারের জন্য ভোট দিন'। সুব্রত মুখোপাধ্যায় ট্যুইট করেন, আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ভবানীপুর-সহ রাজ্যের তিনটি আসনে আজ ভোটগ্রহণ। বিপুল ভোটে দিদির জয় নিশ্চিত করার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। ভবানীপুরের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফিরহাদ হাকিম। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি ট্যুইট করতেও জানেন না।

নালিশ করলে পালিশ করে দেব। ভবানীপুরে ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনে বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানান মদন মিত্রর। অন্যদিকে ভবানীপুরে ভোটের দিন চায়ের ভাঁড়ে সৌজন্যর ছবিও দেখা গিয়েছে। চেতলায় সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে বসে চা খান ফিরহাদ হাকিম। দুর্গাপুর ব্রিজের কাছে পাশাপাশি সিপিএমের বুথ অফিস ও তৃণমূলের অফিস। সেখানেই সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে চায়ের আসর জমান পরিবহণমন্ত্রী। এরা পাড়ার ছেলে, এখানে রাজনীতি নেই, বিজেপি এসে সব ঘেঁটে দিচ্ছে। মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের। কোনও রেষারেষি নেই, জানান সিপিএম কর্মীরাও। পরপর কর্মসৃচির পর কার্যত বিতর্ক তৈরি হয় তাঁকে ঘিরে। বিজেপির দাবি ভোটারদের প্রভাবিত করতে চেয়েছে তৃণমূল। আর এরপরই অভিযোগ জানায় তারা।

আজ ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছিল। দিনভর বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে দিয়ে আপাতত শেষ ভবানীপুরের প্রেস্টিজ ফাইট। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বুথের বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন ছিল সকাল থেকেই। ভবানীপুর কেন্দ্রে মোট বুথ মোট ২৮৭টি। মোতায়েন ছিল ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ছিল ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা ও সিসি ক্যামেরার নজরদারি। সব বুথেই ছিলেন মাইক্রো অবজার্ভার। মাইক্রো অবজার্ভাররা সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। ভবানীপুরের ৩৮টি জায়গায় পুলিশ পিকেট করা হয় এদিন। ছিল, ৯টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। আরটি মোবাইল ভ্যান ছিল ২৩টি।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola