বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: মেয়রের ওয়ার্ডে পড়ল পোস্টার। দেখা মেলে না কাউন্সিলরের, দেখতে পাওয়া যায় না কেন ? এমনই প্রশ্ন তুলে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টারিং করল সিপিএম। যদিও পাল্টা উত্তর গৌতমের।


 তিনি বলেছেন, 'এটা সিপিএমের সংস্কৃতি আরও বেশি করে লিখুক। শুভেচ্ছা রইল। এতে আমাদের কাজের গতি আরও বাড়বে।' প্রসঙ্গত, শহর শিলিগুড়ি জুড়ে পানীয় জলের সংকট। সমস্যায় শহরবাসী। সেই সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি রাস্তা সংস্কারের দাবি সহ একাধিক দাবি তুলে ধরে বুধবার রাতে পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টারিং করা হয় সিপিএমের তরফে। যদিও বৃহস্পতিবার সকাল হতেই সেই পোস্টার উধাও হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সিপিএমের দাবি, কেউ বা কারা সেই পোস্টার সরিয়ে দিয়েছে। 


শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম দেব৷ যিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র পদে রয়েছেন। তার ওয়ার্ডেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বলে অভিযোগ তুলে সরব সিপিএম। দলীয় নেতৃত্বদের দাবি, 'সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। পরিষেবা পাচ্ছেন না। কাউন্সিলরকে এলাকায় দেখা যায় না। তাই এই পোস্টার।' এদিকে পোস্টার প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব অবশ্য খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, 'সিপিএম যদি এই পোস্টার লাগিয়ে থাকে, তবে ধন্যবাদ জানাবো।'


গতবছরও এমনই একটি পোস্টার পড়েছিল বর্ধমানে। তৃণমূল কাউন্সিলর চায়না কুমারীর দেখা নেই। বর্ধমান পুরসভার রসিকপুরে সন্ধান চাই লিখে কাউন্সিলরের নামে পোস্টার পড়েছিল। দলকে কলুষিত করতে বিরোধীরাই পোস্টার লাগিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। পাল্টা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। এমনকি তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের নামেও পড়েছিল নিখোঁজ পোস্টার। কয়েকটি পোস্টারের নিচে বিজেপির রঘুনাথপুর শাখার নাম লেখা ছিল।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


জিটি রোড ও দিল্লি রোডের সংযোগস্থলে ডানকুনি থানা এলাকায় রঘুনাথপুর বাজারে এই পোস্টার দেখা গিয়েছিল। এর আগেও  উত্তরপাড়ার হিন্দমোটর এলাকায় তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চল মল্লিকের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল। সেইসময় পোস্টার-বিতর্কে গুরুত্ব দিতে চাননি বিধায়ক। আগে উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ধরনের পোস্টার দেখা গিয়েছিল। সেদিনই অবশ্য  নিজের বিধানসভা এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক ( Kanchan Mallik ) । নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে দাবি করছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।