তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: টিফিনের ব্যাগে নয়, ফলের রসটা আজ খেয়েছেন দুপুরে, বাড়িতে বসে। ঘুম থেকে একটু দেরি করে ওঠা, দুপুরে খাওয়ার ঠিক আগে স্নান... গোটা দিনটায় যেন একটু আলসেমি লাগা। শ্যুটিংয়ে যাওয়ার তাড়া নেই, টিফিন গোছানো নেই, তৈরি হওয়া নেই... 'মিঠাই'-এর ভাষায়, 'হুড়হুড়' টা নেই। কারণ মনোহরা পরিবারকে তিনি গতকালই ফেলে এসেছেন ফ্লোরে। ধারাবাহিক 'মিঠাই'-এর শ্যুটিং শেষ হয়েছে গতকাল, বুধবার। আজ কলটাইম, শিডিউল, কিচ্ছুর ব্যস্ততা নেই সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundoo)-র। 


শ্যুটিংয়ের শেষদিন কী করল মনোহরা পরিবার? সৌমিতৃষা বলছেন, 'সেটে কেক আনা হয়েছিল। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। শ্যুটিং শেষের পরে সবাই মিলে কেক কাটা হয়। সবাই একসঙ্গে বসে যেমন গল্প করেছি, আড্ডা মেরেছি, আবার আবেগপ্রবণও হয়েছি। আমরা সবাই একটা পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। অনুরাগীদের থেকে প্রচুর উপহার পেয়েছি। তার প্রত্যেকটাই আমার কাছে ভীষণ দামি, ভালবেসে দেওয়া। খুব গুরুত্বপূর্ণও। সবটা আমার কাছে যত্ন করে রাখা থাকবে।'


'মিঠাই'-সংসারের সবচেয়ে বেশি কার কথা মনে পড়বে সৌমিতৃষার? একটু হেসে অভিনেত্রী বললেন, 'গোপাল'। তারপর বললেন, 'শুধু মানুষ নয়, আমি তো আমার রূপটান ঘরের দেওয়ালগুলোকেও মিস করছি।' 


সদ্য অসুস্থতা থেকে উঠেছেন সৌমিতৃষা। কিছুদিন কি বিশ্রামের পরিকল্পনা রয়েছেন? অভিনেত্রী বললেন, 'অগাস্টে আমার নতুন ছবির কাজ শুরু। 'প্রধান'। বড়পর্দায় আমার প্রথম কাজ। অগাস্ট থেকে শ্যুটিং শুরু। এখন ধীরে ধীরে তার প্রস্তুতিই শুরু হবে। তবে গত আড়াই বছর আমি যেভাবে ব্যস্ত ছিলাম, তার তুলনায় ছবির ব্যস্ততা কিছুই নয়। নতুন ইনিংস নিয়ে আমি কিন্তু ভীষণ আশাবাদী।'


আজ শ্যুটিংয়ে যাওয়ার ব্যস্ততা নেই, দিনটা কেমন কাটছে পর্দার 'মিঠাই'-এর? সৌমিতৃষা বলছেন, 'সকাল থেকে ব্যস্ততা থাকত বাড়িতে। মা রান্না করে আমায় খাইয়ে দিচ্ছেন, বাবা ফলের রস করছেন... আমায় স্কুলে পাঠানোর মতো ব্যস্ততা আর কি। আমার রেডি করে, টিফিন ভরে দিয়ে, গাড়িতে তুলে দিয়ে তবে ওদের শান্তি। আমার সঙ্গে সঙ্গে ওঁদের রুটিনটাও যেন বদলে গিয়েছে আপাতত। আমি আজ বেলা করে ঘুম থেকে উঠলাম, জলখাবার খেলাম। সকালে স্নান করে বেরনোর বদলে খাবার আগে স্নান করলাম, দুপুরে ফলের রস খেলাম। আবার হয়তো নতুন কাজের সঙ্গে সঙ্গে নতুন রুটিন হবে।'