বাচ্চু দাশ, শিলিগুড়ি : শাঁখা-সিঁদুর পরা বন্ধ করায়, সন্দেহ হয়েছিল স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আর সেই কারণেই গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। এমনই ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির ভক্তিনগরে।                                                


অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম সুপ্রিয়া বৈশ্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, কোচবিহারের সিতাইয়ের বাসিন্দা ওই দম্পতি শিলিগুড়ি শহরে ভাড়া থাকতেন। স্ত্রী সম্প্রতি শাঁখা সিঁদুর পরা ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ।। তাঁর আচরণে সন্দেহ হওয়ায়, দাম্পত্য সম্পর্কে অবনতি ঘটে।                                                                                                                      

রবিবার বচসার জেরে স্ত্রীকে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন স্বামী সুদীপ বৈশ্য। গুরুতর জখম স্ত্রীকে তিনিই হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করায়, স্বামীকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।                


জানা গিয়েছে, প্রায় দশবছর আগে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী ফুলেশ্বরী এলাকাতে একটি সিমেন্টের দোকানে ভ্যান চালকের কাজ করত। সংসার সুখেরই ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে, সম্প্রতি কয়েকমাস ধরেই স্ত্রীর চালচলনে সন্দেহ হতে শুরু করে স্বামীর।

আরও পড়ুন : 


মৃত মায়ের দেহ পড়ে ঘরে, 'নির্বিকার মেয়ে', দুর্গন্ধে ঘটনা প্রকাশ্যে


পুলিশের প্রাথমিক জেরায় সুদীপ জানিয়েছে,  স্ত্রী খুবই সুন্দরী ছিলেন। কয়েকমাস ধরে স্ত্রীর মধ্যে আমূল পরিবর্তন এসেছিল তার মতে। শাঁখা সিঁদুর খুলে রেখেছিলেন বলে পুলিশকে জানায় অভিযুক্ত। যখন তখন বাড়ির বাইরে কাউকে কিছু না জানিয়েই বেরিয়ে যেতেন স্ত্রী, যা থেকে স্বামীর মাথায় সন্দেহ দানা বাঁধে। সন্দেহ এমন পর্যায়ে যায় যে মাঝেমধ্যেই দু’জনের মধ্যে গণ্ডগোল চরমে উঠত। এমনকি সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে ভাড়া বাড়িতেও  ফিরত না সুদীপ।


এদিন বিকেলে বাড়ি ফিরেই স্ত্রীকে ফের শাঁখাসিঁদুর পরতে দেখে পরকীয়ার সন্দেহ ফের চরমে ওঠে তার। কী কারণে ফের শাঁখাসিঁদুর পরা, স্ত্রীর কাছে তা জানতে চায় অভিযুক্ত। এই প্রশ্নের কোনো উত্তর না দেওয়ায় রেগে যায় সুদীপ। এরপরেই সেখানে পড়ে থাকা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে সে। ঘটনা দেখে ভয় পেয়ে যায় তাদের ছেলেমেয়ারা। এরপরেই স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তবে কর্মরত চিকিৎসকেরা জানান স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকেরা পুলিশকে খবর দেন।