বাচ্চু দাস,শিলিগুড়ি: দীপাবলির আগে শহর শিলিগুড়িতে উদ্ধার চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর শিলিগুড়িতে (Siliguri)। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage)খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের সন্ধানে তদন্ত চালাচ্ছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ (Siliguri Police)।

 জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি জংশনের বাস স্ট্যান্ডে বিহারগামী বাসে স্ট্যান্ডের সামনে দুটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও ওউ ব্যাগ দুটি কেউ নিতে আসে না। ফলে মালিকহীন ব্যাগ দুটি ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে স্থানীয়দের। খবর দেওয়া হয় জংশনের ট্রাফিক গার্ডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ব্যাগ দুটিকে উদ্ধার করে। ব্যাগ খুলে ব্যাগের ভেতর থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী টেলিফোনে জানান, দুটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। ব্যাগ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ব্যাগ দুটির মালিকে সন্ধানে খোঁজ চালানো হচ্ছে।

 অপরদিকে, দুই দুষ্কৃতি নাম্বারহীন বাইকে এসে গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল খড়গপুর ওয়াকশপের গেটের সামনে। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন ছিনতাই এর সময়ে ব্যবহার হওয়া বাইকে দেখে তদন্ত শুরু করে। এবং অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে।এই ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আরেকজনের নাম উঠে আশায় তাঁকেও গ্রেফতার করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ও অন্য দুজন খড়্গপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোটরসাইকেল। আজ তাদের খড়গপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এই সাফল্য দাবি করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন, 'ছোটবেলায় আমি তিনটে বছর গান শিখেছিলাম', স্মৃতির শহরে মমতা

বাইশের শুরুতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নেয় বারাসাত পুলিশ জেলা। সীমান্তবর্তী আমডাঙা, গোবরডাঙা, হাবড়া, দেগঙ্গা-সহ ১৬টি জায়গায় ৩৪টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা প্রকাশ্যে আসে। ব্যারাকপুর কমিশনারেট, বনগাঁ পুলিশ জেলা ও বারাসাত পুলিশ জেলার অন্তর্গত সীমান্তবর্তী এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে চলবে নজরদারি। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের মোবাইল ফোনে থাকবে এই সব সিসি ক্যামেরার লিঙ্ক। দুষ্কৃতীরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে না পারে, তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। সম্প্রতি আমডাঙার করুণাময়ী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় বিশেষভাবে কাজে লাগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। তারপরই এই উদ্যোগ নেয় বারাসাত জেলা পুলিশ।