বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে ফের অস্ত্র উদ্ধার (Fire Arms) রাজ্যে। তবে শুধু অস্ত্র উদ্ধার করেই থেমে থাকা নয়, এসওজি-র জালে এক ব্যাক্তিও। একটি দেশি বন্দুক ও চার রাউন্ড কার্তুজ-সহ এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল এসওজি। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে, শিলিগুড়ির এনটিএস মোড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা মৌসিন আলি নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে এসওজি ও শিলিগুড়ি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ (Police)।


দেশি বন্দুক ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার


ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি বন্দুক ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও অসৎ উদ্দেশ্য আগ্নেয়াঅস্ত্র নিয়ে এসেছিল। আজ ধৃতকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট যতো এগিয়ে আসছে, ততই একের পর এক জেলায় জেলায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। তবে অধিকাংশ জায়গায় বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে, 'মূল মাথাকে ধরা হচ্ছে না।' তারই মাঝেই ফের  এসওজি ও শিলিগুড়ি পুলিশের জালে আরও এক জন। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের অনেক আগে থেকেই, প্রায় প্রতিদিন দিকে দিকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গতবছর বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দুই জেলা মুর্শিদাবাদ ও মালদার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েও বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় একাধিক অস্ত্র কারবারিকে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফতেপুর ফেরিঘাটে জড়ো হন তিনজন। সূত্র মারফত এই খবর পেয়ে সন্ধেয় অভিযান চালায় ডোমকল থানার পুলিশ। তিনজনকেই গ্রেফতার করেন তারা। উদ্ধার করা  হয় দুটি দেশি পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি।  কী উদ্দেশ্যে, কোথায় অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? তা নিয়ে তদন্ত নামে পুলিশ।  মুর্শিদাবাদের রেজিনগরেও পুলিশি অভিযানে উদ্ধার হয় একটি দেশি বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত অস্ত্র কারবারি নদিয়ার কালীগঞ্জের বাসিন্দা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে দেদার বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এনিয়ে একযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় বিরোধীরা।


আরও পড়ুন, ঝালদা পুর-মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের, আপাতত চেয়ারম্যান শীলাই


'বোমা গুলি শিল্পে পরিণত হয়েছে'


গতবছর  মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতির কথা ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে। শাখারভ সরকার বলেন, 'রেজিনগর, বেলডাঙা, ডোমকল, জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রে বোমা গুলি শিল্পে পরিণত হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের দমাতেই এত অস্ত্র।' সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, 'ডোমকলকে অশান্ত করার চেষ্টা।' মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেও সব অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। পঞ্চায়েতে ভোটের আগে যা অস্ত্র উদ্ধার হবে তাতে চিনের সঙ্গে ৬ মাস যুদ্ধ করা যাবে।' বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।