কলকাতা: SIR বিরোধিতায় আজ তৃণমূলের মেগা মিছিল শেষে গর্জে উঠলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'দুদিনের মধ্যে এই মিছিল তৃণমূল করতে পারে, আগামী দু মাসে দিল্লিতে কী করতে পারে বিজেপির বন্ধুদের ভেবে দেখতে বলব। তৃণমূলকে ধমকে চমকে লাভ নেই। সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে ২১ জুলাই কংগ্রেসের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল, ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। একদিকে ১০ কোটির মানুষের আশীর্বাদ, অন্যদিকে আদালত, কেন্দ্রীয় এজেন্সি, ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে আক্রমণ, তাও জয় পেয়েছে তৃণমূল। জুন মাসে অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছিল, একজন যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে জবাব দেবে তৃণমূল।'

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, 'বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে মিছিলে হাঁটছেন মমতা..', সোদপুরে পাল্টা মিছিলে বিস্ফোরক শুভেন্দু

Continues below advertisement

'এই যে ৭ জন আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন, সবার ভোটার তালিকায় নাম ছিল..'

অভিষেক বলেন, 'বিজেপির সহকারি সংস্থা, জাতীয় নির্বাচন দ্বারা ঘোষণা করা এসআইআর, সেই এসআইআর ঘোষণা করার পরে, গত ৭ দিনে,  আমরা যেসমস্ত সহ নাগরিকদের হারিয়েছি, তাঁদের পরিবারের, সেই শহিদ পরিবারের সদস্যরাও সভামঞ্চে রয়েছেন। তাঁদেরকেও আমার কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধা জানাই।...এই যে ৭ জন আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন, সবার ভোটার তালিকায় নাম ছিল। যখন যাকে ইচ্ছে বাংলাদেশি বলে আখ্যায়িত করে,  ডিপোর্ট করে দিচ্ছে।'

'আগামীদিন তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লি যাবে এবং এসআইআর-র প্রতিবাদে বাংলার ক্ষমতা কী, সারা ভারতবর্ষকে দেখাবে'

এদিন তিনি আরও বলেন, 'একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, তার ৬ জন পরিবারের সদস্য সহ তাঁকে, যেখানে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, তাঁর মায়ের ভোটার তালিকায় নাম দিয়েছে, তাঁর বাবার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, ২০০২ সালের খসড়া তালিকায় নাম রয়েছে। তাঁকে বাংলাদেশি বলে ডিপোর্ট করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই যে ৭ জন প্রাণ দিয়েছে, সবাই যোগ্য ছিল, ভোটার তালিকা থেকে সবার নাম বাদ গিয়েছে। আগামীদিন তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লি যাবে, এবং এসআইআর-র প্রতিবাদে বাংলার ক্ষমতা কী, সারা ভারতবর্ষকে দেখাবে।'

বঙ্গ রাজনীতির মেগা-মঙ্গলবার

 অপরদিকে, এ যেন বঙ্গ রাজনীতির মেগা-মঙ্গলবার। যেদিন থেকে বুথ লেভেল অফিসাররা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু করলেন সেদিনই পথে নামলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়-অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় থেকে শুভেন্দু অধিকারী! রেড রোড থেকে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত মিছল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে হাঁটলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।