ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। হয়েছে বুথ লেভের অফিসারদের প্রশিক্ষণও। ডিউটি আওয়ার, নিরাপত্তা ইত্যাদি নিয়ে বিএলও-দের মধ্যে নানা দাবি, নানা প্রশ্ন থাকলেও প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কীভাবে ধাপে ধাপে এগোবে এই প্রক্রিয়া? কবে প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা? এ নিয়ে সকলেরই আগ্রহ। হিসেব মতো, ৪ নভেম্বর, অর্থাৎ কাল থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন। বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন দেওয়ার পর্ব চলবে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর অবধি। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। আপনার দুয়ারেও বিএলও-রা এলেন বলে। আপনি জানেন তো কী কী নথি রাখবেন আপনার হাতে।
পশ্চিমবঙ্গে শেষবার SIR হয়েছিল ২০০২ সালে। পশ্চিমবঙ্গের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তা দেখাও যাচ্ছে কমিশনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে।
২০০২ সালের তালিকায় মা-বাবার নাম আছে ?
এসআইআর নিয়ে কপালে ঘামের বিন্দু না জমতে দিয়ে চটপট দেখে নিন, আপনার নাম বা আপনার মা-বাবার নাম ২০০২ এর ভোটার তালিকায় আছে কি না। ২০০২ সালের তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের আর কোনও চিন্তাই রইল না। তাহরে আর এবার তাঁদের কোনও নথি দিতে হবে না। এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা ২০০২ এ বা তার আগে জন্মেছেন, কিন্তু ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম তোলার বয়স ছিল না। সেক্ষেত্রে ২০০২ সালের তালিকায় মা-বাবার নাম থাকলেও আর কোনও নথি লাগবে না। শুধু কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে গিয়ে 'ম্যাচিং' প্রক্রিয়া করে নিতে হবে। যা অনেই ভোটারই নিজেরাই করে ফেলেছেন।
২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই আপনার ?
২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নিজেদের বা মা-বাবার নাম নেই, তাঁদের নথি দিয়ে নাম তুলতে হবে। এক্ষেত্রে কোন কোন নথি দেওয়া যাবে? কয়েকটি নথি এক্ষেত্রে গ্রাহ্য হবে।
- আপনি কি কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী ? তাহলে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র দিলেই হবে।
- অথবা আপনার হাতে রাখতে হবে, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে পাওয়া ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি।
- ১৯৮৭ তে জন্মই হয়নি আপনার, বা তেমন কোনও নথি নেই, তেমনটা হলেও উপায় আছে। বার্থ সার্টিফিকেট আছে নিশ্চই ! পাসপোর্ট, মাধ্যমিক বা তার পরের শিক্ষাগত যোগ্য়তার সার্টিফিকেট থাকলেও হবে।
- সেটাও যদি না থাকে, তাহলে রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র থাকলেও হবে।
- এছাড়া ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র, কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার, জমি অথবা বাড়ির দলিল থাকলেও তা হাতের কাছে রাখুন। কারণ এগুলোও বৈধ নথি।
- এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড দেখানো যাবে। তবে তা দেখিয়ে নাগরিকত্বের দাবি করা যাবে না।