Sisir Adhikari: 'শিশির অধিকারী তো তৃণমূলেরই সাংসদ..', কুণালের 'সম্পত্তি-খোঁচা'-র জবাব শমীকের

Samik On Sisir Adhikari: '১০ লক্ষ থেকে ১০ কোটি কীভাবে ?', শিশির অধিকারীর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন কুণালের, কী বললেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ?

Continues below advertisement

কলকাতা: শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। আর এবার কুণাল ঘোষের ট্যুইটের পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

Continues below advertisement

 এদিন কুণালের পাল্টা শমীক ভট্টাচার্য বলেন,'হতাশা ও আতঙ্ক থেকে এই ধরনের অভিযোগ তুলছে তৃণমূল, শিশির অধিকারী তো তৃণমূলেরই সাংসদ।' প্রসঙ্গত, বঙ্গ রাজনীতির বুকে একই পরিবারে বিজেপি-তৃণমূলের এমন উদাহরণ আরও একাধিক হয়তো আছে। তবে একটু ফিরে তাঁকালে সবচেয়ে বেশি যে যে নাম গুলি আলোচিত হয়, তা অবশ্যই 'রায়' পরিবার এবং অপরটা 'অধিকারী' পরিবার। যেখানে বাবা ও ছেলের মাঝে পৃথক রাজনৈতিক রঙ রয়েছে। 

একদিকে শুভ্রাংশ রায়, বাবার (মুকুল রায়) পথ ধরেই যিনি ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখনও বঙ্গ রাজনীতির চোখে, মুকুল রায়ের হাতে পদ্ম দিয়ে স্বাগত জানানোর সেই ছবির রেশ লেগে আছে। যদিও দুই বছর পর বাবার সঙ্গেই তিনি ফের ফিরে আসেন পুরনো ঘরেই। তবে মাঝে শারীরিক অসুস্থতার জেরে, নিজে ঠিক কোন দলে রয়েছেন ? এনিয়ে বিতর্ক জিইয়ে রেখেছিলেন মুকুল রায় নিজেই।

অপরদিকে, 'অধিকারী পরিবারের' প্রসঙ্গ উঠলেও একুশের নির্বাচনের হাওয়া লাগে শরতেও। গোটা বাংলা সেসময় দেখেছিল, দল ছাড়ার আগে, দীর্ঘ মেয়াদী মিটিং শুভেন্দুর। তবে শেষ অবধি তৃণমূলে তাঁকে আটকে রাখা যায়নি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন শুভেন্দু। এদিকে তখনও তাঁর ঘরে সারিসারি ঘাসফুল। যদিও তার কিছুটা পরেই দেখা যায় পদ্মের মুখ পরিবারে। তবে বিতর্ক-জল্পনা জিইয়ে বাইশের জুলাই মাসে,রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে  দিল্লিতে সংসদ ভবনে গিয়ে ভোট দিয়ে এসে শিশির অধিকারী বলেছিলেন, 'তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব'।

আরও পড়ুন, থেমে নেই শুভেন্দুতেই, শিশির অধিকারীর সম্পত্তি নিয়ে এবার প্রশ্ন কুণালের

প্রসঙ্গত, নথি দেখিয়ে পোস্টে তিনি লেখেন, ২০০৯-র শিশির অধিকারী যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তখন নির্বাচনী হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০১২-য় সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি টাকা। ২০১৯-এ ৩ কোটি। কুণালের প্রশ্ন, এই পরিসংখ্যান সত্য না মিথ্যা? ১০ লক্ষ থেকে কীভাবে ১০ কোটি হল? আবার ১০ কোটি কমে হল ৩ কোটি? এটা কি ম্যাজিক? শিশির অধিকারীর সম্পত্তির খতিয়ান বলে নথি পেশ করে পোস্টে খোঁচা কুণালের।  

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola