আশাবুল হোসেন, রঞ্জিত হালদার ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) 'অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি-বৃদ্ধি'র অভিযোগ তুলে এবার প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, CBI এবং ED-র ডিরেক্টরকে চিঠি দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। দাবি করলেন, সারদা মামলার সঙ্গে যুক্ত করে তদন্ত করার। এনিয়ে, পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) 'অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি-বৃদ্ধি' নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন আগেই, আর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) দফতরের অধীনস্ত CBI-এর ডিরেক্টর এবং অর্থমন্ত্রকের অধীনস্ত EDএর ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে সারদা মামলার সঙ্গে যুক্ত করে তদন্তের দাবি করলেন কুণাল ঘোষ।


সম্প্রতি, শিশির অধিকারীর 'অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি-বৃদ্ধি'র অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ। দাবি করেন, ২০০৯-এর নির্বাচনী হলফনামায় শিশির অধিকারী বলেছিলেন তাঁর, মোট সম্পদ ১০ লক্ষের বেশি। কিন্তু, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর (PMO) দফতরের ঘোষণা মতো, শিশির অধিকারীর মোট সম্পদ ১০ কোটির বেশি আর, ২০১৯ সালে তা হঠারই কমে হয় ৩ কোটি টাকা।


এর পরই কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, তথ্য ঠিক না ভুল? ১০ লক্ষ ৩ বছরে ১০ কোটি হল কী করে? ১০ কোটি কী করে কমে ৩ কোটি হল? এটা কোন জাদু? এর পরই, এবার কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর 'সম্পত্তি বৃদ্ধি'র তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, CBI এবং ED-কে চিঠি দিলেন তৃণমূল নেতা।                                       


এদিন, সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) কুণাল ঘোষ বলেন, যেহেতু সারদার মালিক অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১ এবং ১২ সালে কাঁথির (Contai) অধিকারীরা তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে প্রচুর টাকা নিয়েছিল এবং একই সময়ে সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি টাকা, তাই, এই বিষয়টি সারদা দুর্নীতি মামলার অধীনে তদন্তের দাবি করে আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, CBI-এর ডিরেক্টর এবং ED-র ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে জেল থেকেই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen)।    


আরও পড়ুন: RG Kar Hospital: জেলরক্ষীদের নজর এড়িয়ে আরজি কর হাসপাতাল থেকে পালালেন বিচারাধীন বন্দি