কলকাতা: জেলরক্ষীদের নজর এড়িয়ে হাসপাতাল (RG Kar Hospital) থেকে পালালেন বিচারাধীন বন্দি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান ওই বিচারাধীন বন্দি। গত শনিবার মহম্মদ সাজিদ নামে ওই বন্দিকে ভর্তি করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন দুই জেলরক্ষী। দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দি ছিলেন ইকো পার্ক থানার মামলায় অভিযুক্ত মহম্মদ সাজিদ। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আগেও একই ঘটনা: এর আগেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করে এক রোগী। পালানোর চেষ্টাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। শেষপর্যন্ত দমকল কর্মীরা চারতলার কার্ণিশ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনেন। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালের অর্থো মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন পঞ্চানন হালদার। এদিন সকালে তিনি পাইপ বেয়ে নীচে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। ততক্ষণে ওই রোগী চারতলার কার্ণিশে পৌঁছে গেছেন। ঘটনাস্থলে আসে টালা থানার পুলিশ ও দমকলের ২টি ইঞ্জিন। শেষপর্যন্ত দমকল কর্মীরা তাঁকে সেখান থেকে নামান। সকাল ৬টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।
পালায় পকসো মামলায় বিচারাধীন বন্দি: শুধু আরজি কর নয় এর আগে SSKM-এর কার্জন ওয়ার্ড থেকে পালায় পকসো মামলায় বিচারাধীন বন্দি। পাথরপ্রতিমা থানার মামলায় বারুইপুর জেলে বন্দি ছিলেন সূর্যকান্ত মণ্ডল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে SSKM-এ ভর্তি করা হয়।
জানা যায় পলাতক ওই বন্দি পকসো মামলায় বিচারাধীন ছিল। এতদিন বারুইপুর জেলেই বন্দি ছিল সে। অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় SSKM-এ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, একদিন ভোরে কার্জন ওয়ার্ড পালিয়ে যায় বছর ৪৭-এর ওই বন্দি। হাসপাতাল ও আশেপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়। কীভাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সূর্যকান্ত মণ্ডল পালিয়ে গেল তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: শিশির অধিকারীর 'অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি-বৃদ্ধি'! অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে চিঠি কুণালের