সৌভিক মজুমদার, কলকাতা:  শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের (Sitalkuchi Firing Case) তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এবার রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court) ।এদিকে আজ শুনানিতে CISF-এর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে রাজ্য। ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দু’পক্ষকেই রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।


বিধানসভা ভোটের দিন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনার তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে? CID ও CISF-কে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা ভোটের দিন ১০ এপ্রিল কোচবিহারের শীতলকুচির জোড় পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলির ১২৬ নম্বর বুথে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে  মৃত্যু হয় ৪ জনের। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। কোচবিহারে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এভাবে গুলি চালনার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ-রাজনীতি। 


বিধানসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর এই ঘটনার তদন্তভার যায় CID-র হাতে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেন, শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে? এখনও পর্যন্ত তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে? 
উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী জানান, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এ নিয়ে ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। কিন্তু CISF তদন্তে সাহায্য করছে না। সেই কারণে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপর বিচারপতি কেন্দ্রের আইনজীবীকে বলেন, রাজ্যের এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের কী মত রয়েছে তা জানাতে। t


পাশাপাশি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে CID-কেও ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।