সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সাপের বিষের প্রতিষেধক হিসেবে এবার আসতে চলেছে ট্যাবলেট। শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ট্যাবলেট বাজারে এলে অনেক রোগীই মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবেন।


কী এই ট্যাবলেট?


এতদিন বিষাক্ত সাপের কামড়ে রোগীদের চিকিৎসায় ভরসা ছিল শুধুমাত্র AVS অর্থাৎ অ্যান্টি ভেনম স্নেক। এবার সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসায় আসতে চলেছে ট্যাবলেট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই যার দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে।


ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিশেষজ্ঞ স্নেহেন্দু কোনার বলেন, "অনেক রোগী হাসপাতালে আসার আগে মারা যান, ট্যাবলেট থাকলে গ্রামের হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতে পারবেন।" কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে। এর একটি অন্যতম কারণ, সঠিক সময়ে AVS ইঞ্জেকশন না পাওয়া। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে AVS অমিল থাকায়, শহরের হাসপাতালে এসে ইঞ্জেকশন নিতে, অনেক দেরি হয়ে যায়।                                                                                               


আরও পড়ুন, রামপুহাটকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিল সরকার


এই সমস্যা কাটাতেই বিকল্প হিসেবে ট্যাবলেটের চিন্তাভাবনা করেন বিশেষজ্ঞরা। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা CDSCO’র সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, ২টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছিল। দেশের ৪টি হাসপাতালকে গবেষণা কেন্দ্র হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে, যার অন্যতম কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।


ন্যাশনাল মেডিক্যাল মেডিসিন বিভাগ বিভাগীয় প্রধান পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, "কতটা করে ওষুধ, কতবার দেওয়া হবে তা নিয়ে বলেছেন, ট্যাবলেটের পর ইঞ্জেকশন দিয়ে দেখা হবে।" কবে বাজারে আসবে ট্যাবলেট? কত দাম হবে? তা আগামী দিনেই জানা যাবে।