ঢাকা: টিপ পরার জন্য সম্প্রতি হেনস্থার (Harassmemt) শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) একটি বেসরকারি কলেজের এক শিক্ষিকা। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে (police constable) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ধৃত কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক (Nazmul Tarek )। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। 


কে ওই অভিযুক্ত:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (Dhaka Metropolitan Police) তেজগাঁও ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার (deputy commissioner) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, 'ওই কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক। আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে ওই ঘটনায় তিনি যুক্ত ছিলেন।' ঢাকার পুলিশ কমিশনার মহম্মদ শফিকুল ইসলাম (Mohammad Shafiqul Islam ) বলেন, 'টিপ পরা নিয়ে শিক্ষিকাকে নিগ্রহের ঘটনায় ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে।' 


শিক্ষিকার অভিযোগ:
শিক্ষিকা অভিযোগ করেছিলেন, ওই কনস্টেবলের হেনস্থার প্রতিবাদ করায় তাঁকে মোটরবাইক দিয়ে ধাক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী। সেই কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। কোনওমতে লাফ দিয়ে পাশে সরে যাওয়ায় বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেও রাস্তায় পড়ে সামান্য জখম হয়েছিলেন ওই কলেজ শিক্ষিকা।


প্রতিবাদ-বিক্ষোভ:
হেনস্থার ঘটনা সামনে আসতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। ঢাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। বাংলাদেশের আরও নানা এলাকায় প্রতিবাদ হয়েছে। সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সে দেশের নাগরিকদের একটি অংশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি তুলেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশের আইনসভার সদস্য (lawmaker) এবং অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা (Suborna Mustafa) বিষয়টি নিয়ে আইনসভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেছেন, 'বাংলাদেশের সংবিধানে কোথায় উল্লেখ রয়েছে যে একজন মহিলা টিপ পরতে পারবেন না?' আইনসভায় বক্তব্য রাখার সময় ওই ঘটনার কড়া সমালোচনা করার পাশাপাশি অভিযুক্তের কড়া শাস্তির পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।


আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের লোকাল বাসে সচিন! ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়