সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিউটাউনের রেস্তোরাঁ মালিককে (Soham Chakraborty Slap Case) মারধরের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) বললেন, 'তদন্ত চালিয়ে যাবে বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগ। আগামী ৪ জুলাই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর দিকে। বিচারপতি সিনহা এদিন বলেন, 'মামলাকারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ ভাবে মামলার তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে।' রেস্তোরাঁ মালিককে মারধরের ঘটনায় গতকালই আগাম জামিন নেন সোহম। বারাসাত আদালত থেকে আগাম জামিন নেন তৃণমূল বিধায়ক।
বিশদ...
পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে, তার তদন্তভার থানার হাত থেকে নিয়ে বিধাননগরের গোয়েন্দাবিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার একজন আধিকারিকের নেতৃত্বে এই মামলার তদন্ত হচ্ছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দেন, সেই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগামী ৪ জুলাই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। তা ছাড়া মামলাকারী অর্থাৎ রেস্তোরাঁ মালিক এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এদিন। পাশাপাশি, এই মামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।
এই মামলায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং কিছু ক্ষেত্রে পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগ রয়েছে। অতিসক্রিয়তার অভিযোগ এনে দবি করা হয়েছে যে রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ও কর্মীদের তাঁদের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। শুধু তাই নয়। কী মর্মে অভিযোগ লেখানো হবে, সেটি নিয়েও জোর দেওয়া হচ্ছিল বসে দাবি। গোটা ঘটনায় রাস্তায় যানজট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ফলে রেস্তোরাঁ মালিক এবং কর্মীদের পক্ষে তাঁদের গাড়ি বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁদের গাড়িতে করে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করুন। কিন্তু পুলিশের দাবি, থানায় গিয়ে রেস্তোরাঁ মালিক-কর্মীরা জানান, তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাইছেন। তবে পরদিনই ফের তাঁরা এফআইআর দায়ের করতে যান। তখনই এই এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে, সমস্ত অভিযোগই খারিজ করেছে পুলিশ। বরং তাদের বক্তব্য, তারা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর দায়েরের পরামর্শ দিয়েছিলেন রেস্তোরাঁর মালিককে। কিন্তু সেই মুহূর্তে পরামর্শ নেননি মালিক বা ম্যানেজার কেউই, জানাচ্ছে পুলিশ। এমনকি, যে মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়েছে পরে। ফলে তার আঘাতের তীব্রতা-অভিঘাত নিয়েও আলোচনার পরিসর থাকছে, কোর্টে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন:ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে বৃদ্ধা দেখলেন, ঘরে বসে ৪ যুবক, মাথায় লাগানো স্পট লাইট..