হিন্দোল দে, সোনারপুর:  ছিনতাইয়ের অভিযোগে বারবার থানায় ছুটে গেলেও FIR দায়ের করতে চায়নি পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ তুলেছে সোনারপুরের বাসিন্দা এক দম্পতি। পরে বারুইপুর পুলিশ জেলার SP-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তাঁরা। অভিযোগকারিণীর সই না পাওয়ায়, FIR দায়েরের পক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। পাল্টা দাবি করা হয়েছে সোনারপুর থানার তরফে। 


সোনারপুরের বাসিন্দা অভিযোগকারিণী ঝর্ণা রায় সর্দার বলছেন, পুলিশ অভিযোগ নেয়নি, আতঙ্কে রয়েছি এরকম কোনও লাইন রাখবে। ব্যাগ ছিনতাই হয়েছে, কিন্তু, পুলিশে সেই অভিযোগ জানাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে। 


দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের এই বাসিন্দাকে। কোদালিয়া দিঘির পাড় এলাকায় থাকেন, স্কুল শিক্ষক জগদীশচন্দ্র সর্দার। গত ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে আসছিলেন তাঁর স্ত্রী ঝর্ণা। অভিযোগ, তখনই মোটরবাইকে করে দুই দুষ্কৃতী এসে তাঁর ব্যাগ ছিনতাই করে পালায়। 


এই ঘটনার পর থেকে কখনও ফোনে, তো কখন সরাসরি সোনারপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে চেয়েছেন দম্পতি। কিন্তু অভিযোগ, FIR করতে চায়নি পুলিশ।বদলে, জেনারেল ডায়েরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  এরপরই বাধ্য হয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার SP-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ঝর্ণা। সেখানে ঘটনার পাশাপাশি, সোনারপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে। 


অভিযোগকারী জগদীশচন্দ্র সর্দার বলছেন, রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি, আমার মেয়েকে তো তুলেই নিয়ে যেতে পারত। বারবার পুলিশের কাছে গেছি। আমার ধারনা পুলিশ ইচ্ছাকৃত রেজিস্ট্রার করছে না, যাতে বদনাম না হয়, দেখাতে চাইছে- এখানে শান্ত


পুলিশ সুপারকে লেখা অভিযোগপত্রে ঝর্ণা লিখেছেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর স্বামী একাধিকবার থানায় গেলেও পুলিশ FIR নিতে চাননি। যদিও সোনারপুর থানার তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, FIR না নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। শুক্রবার FIR করতে থানায় গিয়েছিলেন অভিযোগকারিণীর স্বামী। তাঁর স্ত্রীর সই না পাওয়ায়, FIR দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পূ্র্ণ করা যায়নি। এদিকে ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়ে গেছে। 


আরও এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, একের পর এক ঘটনা, মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেছে। মেয়েকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় লাগে। উল্লেখ্য, থানা থেকে পুলিশ সুপারের দফতর ঘুরতে হয়েছে দম্পতিকে। এবার কি ছিনতাইবাজরা ধরা পড়বে? সেটাই দেখার।