সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: দলের খারাপ ফলের মাঝেই অটুট গড়। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে কড়া টক্করের পরে তৃণমূলকে হারিয়ে সেই কেন্দ্রে পদ্মফুল ফুটিয়েছেন তিনি। গতবারের পরে এবারও বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছে সৌমিত্র খাঁ। পরপরই এসে গিয়েছে জামাইষষ্ঠী। প্রথা মেনে শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি গেলেন শ্বশুরবাড়ি। সাংসদ-জামাইয়ের জন্য ভরপুর আয়োজন শিলিগুড়ির শিব মন্দিরের রায়চৌধুরী পরিবারে। 


জামাইয়ের জন্য নিজের হাতে রান্না করেছিলেন শাশুড়ি করুণা রায় চৌধুরী। কী কী ছিল মেনুতে? সাংসদ জামাইয়ের পাতে ছিল শাক, পাঁচ রকম ভাজা, কাঁচাকলা চোকলা বাটা, চিংড়ি মাছ ভাপা ও আরও অনেক কিছু। তার সঙ্গেই ছিল খাসির মাংস- কারণ এটা নাকি জামাই সৌমিত্র খাঁয়ের দারুণ পছন্দের। 


জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে সকাল থেকেই সাজ সাড় রব শিলিগুড়ি রায়চৌধুরী বাড়িতে। দলের নেতা আসায় চলে এসেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরাও। সাংসদকে স্বাগত জানান তাঁরা। এক হাঁড়ি মিষ্টি আর নানা উপহার নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ, সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী পারমিতা। জমিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পরে স্ত্রীকে নিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল সৌমিত্র খাঁ। আর সেখানে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে রাজনীতির কথা। 


শিলিগুড়িতে বসেই সৌমিত্র (Soumitra Khan) মুখ খুললেন কোচবিহারে প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রীর হার নিয়ে। বললেন, 'নিশীথ প্রামাণিক নিজের ভুলের জন্যই হেরেছে।' জয়ের পরেই দলের একাংশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র আরএসএস-এর সাহায্যের জন্যই তিনি আসন ধরে রাখতে পেরেছিলেন। রাজ্যে দলের সাংগঠনিক শক্তি, নেতৃত্বের একাংশের মনোভাব নিয়ে তোপ দেগেছিলেন তিনি। পরপর ২ বার জিতেও মন্ত্রীত্ব না পাওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। কেন বেসুরো সৌমিত্র খাঁ? এদিন অবশ্য তিনি বলেন, 'সুরো, বেসুরোর কোনও ব্যাপার নেই। দাবি থাকা ভাল। দল যা মনে করেছে তাই করেছে। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ সবাইকেই দলের প্রয়োজন রয়েছে। প্রত্যেকে দলের জন্য ভাবে। দলের বিরোধী কেউ নয়।' শিলিগুড়িতে জামাইষষ্ঠী পালন করতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।


কোচবিহার নিয়ে আইনি পথে বিজেপি?
অন্যদিকে কোচবিহারে ১০০ টিরও বেশি ইভিএম পরিবর্তন করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোচবিহারের (Cooch Behar) পরাজিত বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। নির্বাচনের ফল বেরনোর পরে আজ তিনি প্রথম জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে আসেন। তিনি বলেন, বেশ কিছু বুথে ফর্ম ১৭ সি-এর সঙ্গে ইভিএম-এর  নম্বর মেলেনি। ওই নিয়ে আইনি পথে লড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।