শান্তনু নস্কর, সুন্দরবন : সুন্দরবনে (Sunderban) ফের বাঘের আক্রমণে মৃত এক মৎস্যজীবী (Fisherman)। মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরই বাঘের মুখে পড়েন। মৃতের নাম নিখিল মণ্ডল। ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের ঝিলা ৪ নং জঙ্গলে। নিখিলের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন কোস্টাল থানার অন্তর্গত লাহিড়িপুর গ্রামে । 


আজ সকালে লাহিড়িপুর গ্রাম থেকে মাছ-কাঁকড়া ধরতে ঝিলা জঙ্গলে যান তিন মৎস্যজীবী। মাছ ধরার সময় হঠাৎ একটি বাঘ পিছন দিক থেকে এসে নৌকার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নিখিলকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে থাকা অপর দুই সঙ্গী তাঁদের কাছে থাকা লাঠি নিয়ে এক প্রকার 'যুদ্ধ' করে নিখিলকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে । কিন্তু, তার আগেই সব শেষ হয়ে গেছে। মারা যান নিখিল। গ্রামে নিখিলের দেহ নিয়ে আসতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, ওই মৎস্যজীবীদের বৈধ কোনও কাগজপত্র ছিল না।


দিনকয়েক আগে মইপীঠে বাঘের হানায় (Tiger Attack)  প্রাণ যায় এক মৎস্যজীবীর (Fisherman Dead)। জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে তিনি বাঘের মুখে পড়েন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।


মইপীঠ কোস্টাল থানার নগেনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চু মুন্ডা। বয়স ৫০ বছর। স্ত্রী এবং দুই সহযোগীকে নিয়ে শনিবার সকালে সুন্দরবনের (Sundarbans News) জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে বেরোন তিনি। সেই সময় আচমকাই একটি বাঘ তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে দাবি পঞ্চুর পরিবারের। পরিবার সূত্রে জানানো হয়, আচমকা ঝাঁপিয়ে পড়ে পঞ্চুর ঘাড়ে থাবা বসায় বাঘটি। তার পর টানতে টানতে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় তাঁকে। কোনও রকমে চিৎকার করে সাহায্যের আর্তি জানান পঞ্চু। তাতেই থতমত খেয়ে পঞ্চুকে ছেড়ে দেয় বাঘটি। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।