শান্তুনু নস্কর, জীবনতলা (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): গোপন খবরের ভিত্তিতে জীবনতলা থানার পুলিশ ওৎ পেতে ধরল দুই দুষ্কৃতীকে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে লোডেড আগ্নেয়াস্ত্রও।  এভাবে আগাম খবর পেয়ে পুলিশ ভেস্তে দিল দুষ্কৃতীদের ছিনতাইয়ের ছক।


পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পেরেছিল যে,  জীবনতলার দেউলি বোদরা রোডে কোনও এক জায়গায় ছিনতাইয়ের লক্ষ্যে ২-৩ জন দুষ্কৃতীর একটি দল বাবুরহাট থেকে বোদরার দিকে যাবে। মোটরসাইকেলে তারা যাবে বলে পুলিশ জানতে পেরেছিল। এই খবর পাওয়ার পরই দেউলি বাজার, ঘুটরি মোর, তালতলা মোড়-এই তিন জায়গায় পুলিশের তিনটি দল মোতায়েন করা হয়।  দুষ্কৃতীদের গতিবিধির দিকে কড়া নজর রাখেন পুলিশ কর্মীরা। জীবনতলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবর বর্ণনা দেখে দুই দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের নাম রফিকুল মোল্লা, মফিজুল গাজি। রফিকুলের বয়স ২৭ বছর,  মফিজুলের ২৩। রফিকুলের বাড়ি জীবনতলায়। অন্যদিকে মফিজুল সন্দেশখালির মোঠবাড়ি হাজিরখাটখোলার বাসিন্দা। দুই দুষ্কৃতীই মোটরসাইকেলে চেপে যাচ্ছিল। সেই সময় তাদের থামানো হয়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে মফিজুলের কোমরে লুকোনো লোডেড আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।  পুলিশের জেরায় ধৃতরা তাদের ছিনতাইয়ের ছকের কথা স্বীকার করেছে। ধৃতরা জানিয়েছে, রাস্তায় পথচারীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ছিনতাইয়ের ছক কষেছিল তারা। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে।


উল্লেখ্য, গত অগাস্ট মাসে  অস্ত্র সহ ১২ জনের একটি ডাকাত দলকে গ্রেফতার করে তাদের অপরাধের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল মেদিনীপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল গুলি সহ একটি দেশি বন্দুক,ভোজলি,ছুরি, রড সহ বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জাম। জানা গিয়েছিল,  ঘটনার দিন ভোর রাত্রে এই ডাকাত দলটি মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন হোসনাবাদ এলাকায় জড় হয়েছিল ডাকাতির উদ্দেশ্যে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পুলিশ তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পুলিশ জানিয়েছিল, ওই এলাকার পেট্রোল পাম্পগুলিতেই ডাকাতির ছক কোষেছিল ওই ডাকাত দলটি। ওই ডাকাত দলের প্রত্যেকেই মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেও পুলিশ জানিয়েছিল। গ্রেফতারেপ পর এই ১২ জনকেই তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে। আদালত প্রত্যেকেই ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল।