জয়দীপ হালদার,ঘোড়ামারা (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): নিম্নচাপের জেরে প্রবল বর্ষণ হয়েছে  দক্ষিণবঙ্গে।  এর মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দেয় পূর্ণিমার কটাল। নিম্নচাপ ও  পূর্ণিমার কটালের জোড়া ফলায় জেরবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।  এরমধ্যে ঘটল বিপত্তি। হুগলি নদীতে তলিয়ে গেল আস্ত স্কুল বাড়ি। গঙ্গাসাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপে নদী ভাঙ্গনের ফলে হুগলি নদীর গর্ভে তলিয়ে গেল খাশিমারা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়। বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে হুগলি নদীতে ভাঙ্গন দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন। কিছু বুঝে ওঠার আগে আস্ত স্কুল বাড়িটি হুগলি নদীর করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়। টানা বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি এরমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন স্কুল ও ফ্লাট সেন্টার গুলি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বিকেলবেলা আস্ত স্কুলবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা।


এই দ্বীপ এমনিতেই ভাঙন-কবলিত। তার ওপর আমফান, ইয়াসের দাপটে পরে এখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। চাষের জমি থেকে মানুষের বসতবাটিও নদীগর্ভে চলে যাওয়ার খবর সামনে এসেছে। এরইমধ্যে এই বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে।


এদিকে, নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গা। চরম দুর্ভোগের শিকার রায়গঞ্জের প্রায় ১৫টি ওয়ার্ডের বাসিন্দা। জল ঢুকেছে বাড়িতে, দোকানে। জমা জল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বালুরঘাটেও বৃষ্টিতে রাস্তায় জমেছে জল। প্রায় সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে রায়গঞ্জ পুরসভার অন্তত ১৫টি ওয়ার্ড। বিদ্রোহী মোড়, বীরনগর, দেবীনগর, শক্তিনগর, অশোক পল্লি, নেতাজি পল্লি, কলেজপাড়া, রমেন্দ্রপল্লি, পূর্বাশা পাড়ায় জমেছে জল।


জমা জল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের খোঁচা, লন্ডন বানানোর কথা বলেছিল। পুরসভা কাজ করে না। মাস্টার প্ল্যান করবে বলে ক্ষমতায় এসেছিল। ড্রেনও পরিষ্কার করে না।  অন্যদিকে, রায়গঞ্জের উপ পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকার বলেছেন, আগের পুরবোর্ড ঠিকমতো মাস্টারপ্ল্যান না করায় শহরে জল জমছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পরে দীর্ঘদিন ধরে জল নিকাশি ব্যবস্থার আরো উন্নতি করার চেষ্টা চালাচ্ছি।  আশা করি খুব শীঘ্রই এই সমস্যা মিটে যাবে।


টানা বৃষ্টিতে জল জমেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বিভিন্ন জায়গাতেও।জলে পা ডুবিয়েই চলছে যাতায়াত।কবে জমা জলের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে? সেই আশায় দিন গুনছেন দুই জেলার বাসিন্দারা।