রঞ্জিত হালদার, হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের ভাঙড়ে বস্তাভর্তি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিশ গতকাল রাতে অভিযান চালায়। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বানিয়াড়া এলাকায় একটি কলাবাগানের মধ্যে এক বস্তা বোমা মেলে। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল, তার সন্ধান চালাচ্ছে কাশীপুর থানার পুলিশ।
তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার: এর আগেও দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের হাতিশালায় আইএসএফের সংঘর্ষের ঘটনায় সম্প্রতি এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ধৃত জহিরুল মোল্লা তৃণমূলের চালতাবেড়িয়ার অঞ্চলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি। সিসি ক্যামেরা ও ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেফতার বলে পুলিশ জানিয়েছে। ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষের ঘটনায় এর আগেও তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রশাসন চালাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রং দেখেন না, এই ঘটনা তার প্রমাণ। দাবি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক সওকত মোল্লার।
সম্প্রতি যখন গ্রেফতার হলেন তাপস মণ্ডল, অন্যদিকে ভাঙড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও ব্লক সভাপতি শাহজাহান মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালায় CBI। ওই তৃণমূল নেতা শান্তিপ্রসাদ সিন্হার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বলে CBI সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যদিও তল্লাশি চালিয়ে কিছুই মেলেনি বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা।
বীরভূমে বোমা উদ্ধার: গতকাল বীরভূমের মাড়গ্রামে বোমা উদ্ধার হয়। এবার তপন গ্রামে জেলবন্দি সিপিএম নেতার বাড়ির পাশ থেকে দু ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, সিপিএম নেতা ইয়াকুব শেখকে ফাঁসানোর জন্য তাঁর বাড়ির পাশে বোমা রেখে গেছেন তৃণমূল কর্মীরা। দোষীদের গ্রেফতারির দাবি তুলে পুলিশকে বোমা উদ্ধারে বাধা দেন তারা। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বম্ব স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের। তার এক সপ্তাহের মাথায় বোমা মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যর খামার বাড়ি থেকে ৩ ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়।
বোমা ফেটে জখম মা ও শিশু: সোমবার শুকনো পাতা ঝাঁট দেওয়ার সময়, বোমা ফেটে জখম হন মা ও ৬ বছরের শিশু। এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের ইটাবেড়িয়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুকনো পাতা ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করছিলেন মা। সঙ্গে ছিল ৬ বছরের ছেলে। পাতার আড়ালে লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে ২ জনেই জখম হন। মা ও ছেলেকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কে বা কারা শুকনো পাতার স্তূপে বোমা মজুত করেছিল খতিয়ে দেখছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ।