কলকাতা: বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন যে, ফিট থাকার জন্য শরীরচর্চা করা, জিমে সময় কাটানো এবং ডায়েট মেনে চলাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এগুলোর সঙ্গে সঙ্গে আরও একটা বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। যা সাধারণত বহু মানুষ এড়িয়ে গিয়ে থাকেন। তা হল ঘুম (Sleep)। ফিটনেসের (Fitness) জন্য অত্যন্ত জরুরি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। তাঁদের মতে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হলে তবেই শরীরচর্চা থেকে ডায়েট মেনে খাবার খাওয়া সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।


ফিটনেস এবং ঘুম-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের পেশির কোষগুলির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি শরীরচর্চা থেকে ডায়েট মেনে খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমোন, তাহলে কোনও কিছুই শরীরে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা সঠিকভাবে পৌঁছতে সাহায্য করে ঘুম। পেশির গড়নে সাহায্য করে। শরীরচর্চার ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। সেই সময় শরীরের আরাম প্রয়োজন হয়। আর তা একমাত্র সম্ভব ঘুম থেকেই। 


আরও পড়ুন - Hypertension: ৬ সহজ পদ্ধতিতে বাড়িতেই কমিয়ে ফেলুন হাইপারটেনশন


গবেষকদের মতে, বহু মানুষের মধ্যেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা অনিয়মিত লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবের কথাই জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, যদি আমাদের জীবনযাত্রা স্বাস্থ্যকর থাকে, এবং আমরা প্রতিদিন যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খাই, তাহলে অনিদ্রার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বয়স অনুযায়ী ঘুমের প্রযোজনীয়তা রয়েছে আমাদের। কিন্তু অনেক সময়ই নানা কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমনো সম্ভব হয় না বহু মানুষের। এর ফলে আমাদের শরীরে কী কী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে জানা আছে? শরীরে কোন কোন জটিল সমস্যা (Health Problem) তৈরি হয় এর ফলে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অপর্যাপ্ত ঘুম নানা মানসিক সমস্যা তৈরি করে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, অবসাদ, স্ট্রেস, উদ্বেগজনিত সমস্যা এবং হরমোনের নানা সমস্যা তৈরি হয় এর ফলে। মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত জরুরি। কম ঘুমের কারণে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো অসুখের ঝুঁকে বেড়ে যায় এর ফলে। তাঁদের মতে, অপর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা প্রবাব ফেলে হৃদপিণ্ডে। আর তার ফলেই ঝুঁকি বাড়ছে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগের। মস্তিষ্ক সচল থাকে না অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেম, সুস্থ থাকতে মস্তিষ্ক সচল থাকা খুবই জরুরি। যাতে সমস্যা তৈরি করে সঠিক ঘুম না হওয়ার ফলে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।