হিন্দোল দে, রানা দাস ও রঞ্জিত হালদার, মরিচঝাঁপি: আগামী সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) ‘মরিচঝাঁপি চলো’র ডাক দিয়েছে বিজেপির (BJP) তফশিলি মোর্চা। ওই দিন ৪২টি সাংগঠনিক জেলায় মৌন মিছিল করবে বিজেপি। যা নিয়ে, তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। CAA এখনও কার্যকর না হওয়ায়, চাপ বাড়ছে বিজেপির (BJP) অন্দরে!
এই ইস্যুতে নাম না করে নিজের দল বিজেপিকেও (BJP) আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)! এবার বিজেপির নজরে সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের কোয়ার্টারে দুঃসাহসিক চুরি
১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে, মরিচঝাঁপিতে বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের হত্যার অভিযোগ ওঠে। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু (Jyoti Basu)। ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ড চলে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই প্রেক্ষাপটে, ৩১ জানুয়ারি, সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ‘মরিচঝাঁপি চলো’র ডাক দিয়েছে বিজেপির তফশিলি মোর্চা। ওই দিন ৪২টি সাংগঠনিক জেলায় মৌন মিছিল করবে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, হুগলিতে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর কথায়, মরিচঝাঁপির ঘটনাকে মানুষ যেন না ভুলে যায়, ছিন্নমূল মানুষের উপর কী পরিকল্পিত হত্যা। ওপার বাংলা থেকে আসা ছিন্নমূল মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়া বিজেপির নীতিগত অবস্থান। বিজেপির ‘মরিচঝাঁপি চলো’র ডাকতুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি দেশেহারা, বিদ্রোহ হচ্ছে। এসব থেকে নজর ঘোরাতে একটা করে কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, বিজেপির প্রশ্রয়ে তৃণমূলের সরকার এসেছে। এতদিন ধরে কি করল। সব মিলিয়ে বিজেপির মরিচঝাঁপি আন্দোলন নিয়ে, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।