শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একেই বলে রাখে হরি মারে কে। সাধারণ জীবনযাপন, কে জানত রাতারাতি বদলে যাবে দিন। লটারির এক টিকিটেই বাজিমাৎ। সন্ধেয় টিকিট কেনার সন্ধেতেই কোটিপতি হয়ে গেলেন তালদির যুবক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘটনা। ক্যানিং থানার তালদি বয়ারসিংয়ের রফিক আলী গাজী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনশো টাকা দিয়ে লটারীর টিকিট কেটেছিলেন।
আর এরপরই সন্ধ্যা ছয়টার খেলায় প্রথম পুরস্কার পেয়ে যান তিনি। ১ কোটি ৪৯ হাজার টাকা জেতেন রফিক। এর পর নিজের সুরক্ষার কথা ভেবে টিকিট নিয়ে সোজা ক্যানিং থানায় চলে আসেন। রফিক জানান, তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। টাকা পেয়ে তিনি আগামী দিনে তাঁর সন্তানদের ভাল ভাবে মানুষ করবেন। পাশাপাশি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে থাকবেন। তাঁর ব্যবসা বাণিজ্যেরও ইচ্ছে রয়েছে বলেন জানান তিনি।
বেশ কয়েকমাস আগে কাজ চলে যায় যুবকের। নিজের বাড়ি ঘর বিক্রি করে দেনাও মিটিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়েই কাটছিল দিন। অবশেষে দুঃখের দিনের শেষ। পরিবার নিয়ে এবার সুখে জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখছেন ফিক আলী গাজী।
সম্প্রতি দেড়শো টাকা দিয়ে টিকিট কেটে কোটিপতি হন দুই ব্য়ক্তি। কিছু সময়ের মধ্যেই হাতে পেলেন একেবারে কোটি টাকা। এটি কোনও গল্প নয়, বরং একেবারেই বাস্তব ঘটনা। পেশায় অটোচালক দুই ব্যক্তি অভ্যাস বশত একযোগেই কেটেছিলেন টিকিট। আর তাতেই কেল্লা ফতে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার গোপালপুর পঞ্চায়েতের হেরোভাঙ্গা বাজারের কাছে দুই অটো চালক ভরত সিং ও বিশ্বজিৎ সুই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা স্থানীয় এক লটারির দোকান থেকে দেড়শো টাকার টিকিট কাটেন। এরপর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তাঁরা জানতে পারেন দুজনের মিলিত টিকিটে এক কোটি টাকা প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। পেশায় অটো চালক ভরত সিং ও বিশ্বজিৎ সুঁই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার কারণে তাঁরা টিকিটের জেরক্স নিয়ে সোজা ক্যানিং থানায় উপস্থিত হন। এই ঘটনায় ক্যানিং থানার পুলিশ তাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই টাকা নিয়ে কী করবেন দুই অটোচালক সে প্রশ্ন প্রসঙ্গে ভরত সিং বলেন, "আমরা তো গরীব মানুষ। কিছু ধার দেনা আছে। সেগুলি শোধ করব। ছোট করে একটা বাড়ি করব। কিছুটা অর্থ সমাজসেবামূলক কাজেও দান করব।" অন্যদিকে, বিশ্বজিৎ সুই বলেন, "খুব আনন্দ হচ্ছে জেতায়। কিছুটা হলেও দুঃখের সময় কাটবে।"