দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্কুলের মিড ডে মিল (Mid Day Meal) সংক্রান্ত সমস্যার জেরে স্কুল কমিটির সভাপতির সঙ্গে এলাকাবাসীর বচসা। প্রকাশ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও স্কুল কমিটির সভাপতির গালে সপাটে চড় মারেন এক ব্যক্তি। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা থানা এলাকার হরিপুর উত্তর নেতাজি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে মিড ডে মিল নিয়ে অভিযোগ ছিল অভিভাবকদের। গতকাল তা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য লক্ষপতি মণ্ডলের সঙ্গে বচসা শুরু হয় এলাকাবাসীর। এই সময় লক্ষপতি মণ্ডলকে সপাটে চড় মারেন এক ব্যক্তি।


পশ্চিম মেদিনীপুরে মিড ডে মিলে কারচুপি: এর আগেও মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।  মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) কারচুপিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) হিসেব না দিলে পড়ুয়াদের আর স্কুলে পাঠাবেন না, দাবি করেন অভিভাবকদের। বিষয়টি অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয়। 


ছবিটা পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Bengal) নারায়ণগড়ের (Narayangarh) বেলটি গিরিবালা বিদ্যাপীঠ (Belti Giribala Bidyapith)। স্কুল এনেও ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে নিয়ে যান অভিভাবকরা। বিক্ষোভ দেখান শিক্ষকদের ঘরের সামনে।


অভিভাবকদের দাবি ছিল, করোনা আবহের (Corona Update) মধ্যে বদলি হয়ে গিয়েছেন মিড ডে মিলের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। তিনি যতদিন না মিড ডে মিলের সঠিক হিসেব দেবেন, ততদিন তাঁরা পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন না।


দীপককুমার দে নামে এক অভিভাবক জানান, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার সময় স্কুলের মিড ডে মিল নিয়ে কারচুপি করেছেন আর সেই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের কোন হিসেব না দিয়েই বদলি হয়ে যান  যতদিন না ওই প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসে বকেয়া হিসাব বুঝিয়ে না দিয়ে যাবেন ততদিন তারা বিদ্যালয় বন্ধ রাখবেন।নারায়ণগড় বেলটি গিরিবালা বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সন্দীপ সিংহ জানান, বিদ্যালয় সকাল থেকে যথারীতি চললেও দুপুরের পর অভিভাবকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছে আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে  বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শক এর অফিসে গিয়ে জানাচ্ছি।