হিন্দোল দে, মগরাহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মগরাহাটে টাকা ফেরতের কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোড়া খুন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে টাকা ফেরতের টোপ দিয়ে ডেকে পাঠিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। দুই বন্ধুকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। নিহতদের মধ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগের তির স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর দিকে। 


কীভাবে খুন?
অভিযোগ ওই দুই ব্যক্তিকে টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে আনেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীর গোডাউনে ডেকে নেওয়া হয়। তারপরে সেখান থেকেই পরে ওই দুইজনেরই দেহ মেলে বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে সামনে আসে ঘটনাটি। অভিযোগ, প্রথমে গুলি করা হয়েছে ওই দুইজনকে। তারপরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহতদের নাম বরুণ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বন্ধু মলয় মাখাল। এর মধ্যে অরুণ চট্টোপাধ্যায় পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। 


কেন এই ঘটনা?
স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর ভুসিমালের ব্যবসা রয়েছে। তাঁর কাছ থেকে জিনিস কেনার আগে আগাম ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বরুণ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বন্ধু মলয় মাখাল। কিন্তু পুরো টাকা নিয়ে নিলেও জিনিস দিচ্ছিলেন না ওই ব্যবসায়ী। বারবার বললেও জিনিস না পেয়ে টাকা ফেরত চান ওই দুজন। ওই ব্যবসায়ী সেই টাকা দিতেও টালবাহানা করছিলেন বলে অভিযোগ। অবশেষে তাঁদের টাকা ফেরত দিতে ওই ব্যবসায়ী ডেকেছিলেন বলে অভিযোগ। শনিবার তাঁদের দেহ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যবসায়ী পলাতক। জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা, ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদেই এই খুন।       
 
এলাকায় রোষ:
জোড়া খুনের পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মগরাহাটের ওই এলাকা। শনিবার সকাল থেকেই গোটা এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি এমনটাই হয়েছে যে পুলিশকে দেহ তুলতেও দেওয়া হয়নি। দুপুর একটা পর্যন্ত ওই গোডাউনেই দেহ পড়েছিল। জোড়া খুন জানাজানি হওয়ার পরেই ওই এলাকার দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ চলছে। পুলিশকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না, ওই এলাকায় বাইরে থেকেও কাউকে ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় পাঠানো হচ্ছে বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি শান্ত করে, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।


আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে বাসন্তী পুজোর সপ্তমীর রাতে যুবক খুন