গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : আর জি কর-কাণ্ডের আবহেই সারা রাজ্য থেকে একের পর এক শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতনের অভিযোগ। কখনও কৃষ্ণনগর, কখনও জয়নগর, কখনও ফরাক্কা , কখনও আবার পুরুলিয়ার বরাবাজার, কোথাও আক্রান্ত, নিহত তরুণী , কখনও দুধের শিশু। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল।
সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার পাথরপ্রতিমার গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল অন্যত্র রেফার করায় অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। মহিলা ওয়ার্ডের মধ্যেই অ্যাম্বুল্যান্স চালক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। গতকাল ঢোলাহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালককে গ্রেফতার করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তকে আজ কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
নার্সের রহস্যমৃত্যু
অন্যদিকে শিলিগুড়ির মিলন পল্লিতে এক নার্সের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ফ্ল্যাটের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় বছর ২৫-এর তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। দার্জিলিঙের বাসিন্দা অর্চনা থাপা শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন। মিলন পল্লির একটি বহুতলে কয়েকজনের সঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই নার্স। স্থানীয়দের দাবি, গতকাল রাতে অ্যাম্বুল্যান্স এনে দেহ পাচারের চেষ্টা হয়। তাঁরাই আটকে দেন।
দেহ উদ্ধারে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশকে। ইটবৃষ্টিও হয়। ইটের ঘায়ে এক পুলিশ কর্মী জখম হন। নার্সিংহোমের মালিককে ঘটনাস্থলে আনার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বহুতলে অসামাজিক কাজ হত। অপরিচিত লোকজনের যাতায়াত ছিল। নার্সের মৃত্যুর পিছনে রহস্য থাকতে পারে বলে আশঙ্কা। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ।
টিউশন ফেরত স্কুলছাত্রীদের কটূক্তি ও তাড়া
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণ, বিভিন্ন জেলা থেকেই একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। বাঁকুড়ায় টিউশন ফেরত স্কুলছাত্রীদের কটূক্তি ও তাড়া করার অভিযোগ উঠেছে মত্ত যুবকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বাঁকুড়া শহরের হেভির মোড় উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত দেশি মদের দোকান রয়েছে। সেখানে বসে মত্ত ব্যক্তিরা এলাকার মহিলাদের প্রতিদিনই উত্যক্ত ও কটূক্তি করে । এই অভিযোগে মদের দোকানে ভাঙচুর চালায় ক্ষিপ্ত জনতা। অভিযুক্ত যুবকের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার রাতে পথ অবরোধও করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাঁকুড়া থানার পুলিশ। শেষপর্যন্ত পুলিশের আশ্বাসে অবশেষে অবরোধ ওঠে। CC ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।