সোনারপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) সোনারপুরের (Sonarpur) কামরাবাদে যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম লাল্টু হাজরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে গতকাল রাতে একাই ছিলেন। মাঝরাতে অন্য এক বন্ধু এসে দেখেন, লাল্টু গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। সোনারপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে বা কারা, কেন যুবককে গুলি করে খুন করল তা পরিষ্কার নয়। ঘর থেকে গুলির খোল ও গুলিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুব কাছ থেকে পেটে গুলি করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় মৃতের এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। 


একের পর এক ঘটনা: পরপর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। নাবালকদের দিকে বোমা ছোড়াবোমা ফেটে জখম কিশোর। গত এক মাসে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য একেবারে সীমা ছাড়িয়েছে! একের পর এক খবরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এরই মধ্যে শনিবার এক যুবক খুনের খবর প্রকাশ্যে আসে। সোনারপুরে গুলি করে খুন করা হয় যুবককে! বন্ধুর বাড়িতে ঢুকে যুবককে খুন করে গেল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে কামরাবাদ এলাকায়। 


ঠিক কী হয়েছিল: জানা গিয়েছে নিহত লাল্টু হাজরা (২৬) বন্ধু বিশ্বজিতের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে থাকার কথা ছিল আরও দুই বন্ধুর কিন্তু, ঘটনার সময় বাড়িতে লাল্টু ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। নিহতের এক বন্ধু দাবি করেছেন, রাত ১২টা নাগাদ, তাঁকে ফোন করে মশার ধূপ আনতে বলেছিলেন লাট্টু। কিন্তু, কার্তিক পুজোর বিসর্জনের অনুষ্ঠানে থাকায়, তাঁর বাড়ি ফিরতে রাত ২টো বেজে যায়।


যুবক খুনের পর, সামনে চলে এসেছে আরও একটি ঘটনার প্রসঙ্গ। নিহতের পরিবারের দাবি, দশমীতেও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লাট্টুকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই এবার পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে নিহতের পরিবার। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।


আত্মীয়ের বয়ান: নিহতের ভাই-এর কথায়, দশমীর ভাসানের দিন, ঝড় বৃষ্টি হয়, দাদা ও বিশ্বজিৎদার দিকে বন্দুক তাক করেছিল, তারপর নিজেই পালিয়ে গেছিল, বন্দুকটা চলেনি বলে। দীপ, গোপাল, রাজীব। ওই ব্রিজের তলায় গুলি চালিয়েছিল।


তদন্তকারীরা খুন মনে করছে, কারণ প্রথমত গুলি করা হয়েছে, তবে ঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র মেলেছে, পাওয়া গেছে ২টি খোল। ডান হাতের আঙুলে গভীর ক্ষত, যে ঘরে দেহ, সেই ঘরের পিছনের জানলার কাচ ভাঙা, ধস্তাধস্তি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


তাহলে কি দশমীর দিন যাঁরা হুমকি দিয়েছিল, তারাই খুন করেছে যুবককে? না কি, খুনের পিছনে হাত রয়েছে অন্য কারও? শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরতে বন্ধুদের এত দেরি হল কেন? দুষ্কৃতীরাই বা কীভাবে জানল, ওই সময় বাড়িতে আর কেউ থাকবে না? একটা খুন তুলে দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন।