রঞ্জিত হালদার, রঞ্জিত সাউ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফোনে মহিলাকে খুনের হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (TMC)। দফায় দফায় সিন্ডিকেট তাণ্ডব থেকে হুমকি, বেশ কিছু দিন ধরেই খবরে তৃণমূল নেতাদের কীর্তি। ভাঙড়ের এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এ বার তাতে নয়া সংযোজন। জমি দখল নিয়ে এক মহিলাকে ফোনে তিনি খুনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas News) জেলার ভাঙড় (Bhangar News) ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি এবং ভাঙড় ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহজাহান মোল্লা এই ঘটনায় অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে চন্দনেশ্বর এলাকায়। অভিযোগকারিণীর দাবি, গত এক বছর ধরে তাঁর পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাতে কায়দা করতে না পেরে তাঁকে গুলি করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়।
প্রমাণ দিতে ফোনের একটি কথোপকথনের অডিও ক্লিপ (Audio Clip) সামনে এনেছেন অভিযোগকারিণী। এবিপি আনন্দ ওই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি। তবে অভিযোগকারিণীর দাবি, পৈত্রিক জমি দখলে বাধা দেওয়ায় গত বছর দেহরক্ষী এবং পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়ন অভিযুক্ত। গুলি করে খুনের হুমকি দিতে থাকেন।
সম্প্রতি তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি গায়ে কীটনাশক স্প্রে-ও ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি ওই মহিলার। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশের তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁর। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা যদিও হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। রেকর্ড করা অডিও ক্লিপটি তাঁর নয় বলেও দাবি করেন।
তবে এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশের বলে বলীয়ান হয়ে শাসকদলের নেতারা এমন আচরণ করছেন।’’ রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘হুমকি শুধু নয়, মেরেও দেওয়া হচ্ছে। মহিলাদেরকেও ছাড়া হচ্ছে না। আইনকানুন বলে কিছু নেই।’’ তৃণমূলের তরফে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও পর্যন্ত।