জয়দীপ হালদার, সুন্দরবন: নিম্নচাপের সতর্কবার্তা আগেই গিয়েছিলেন মাছ ধরতে গিয়ে। কিন্তু তাতেও নেই রক্ষে। দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন মৎস্যজীবীরা। ঝড় বৃষ্টির জেরে নৌকা উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের চাঁদদোয়ানি জঙ্গলের কাছে বিদ্যাধরী নদীতে। দুদিন গাছের উপর কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার ৯ মৎস্যজীবী।


শনিবার বিকেল থেকে সোমবার সকাল, দেড় দিন, প্রকৃতির সঙ্গে তুমুল লড়াই। খাবার নেই। নেই পানীয় জল। মাথার ওপর আকাশ ভাঙা বৃষ্টি। শুধু যে ভয়ঙ্কর প্রকৃতি তা নয়। নদীতে কুমীরের ভয়। আর ডাঙায় ওঁত্ পেতে আছে, রয়্যাল বেঙ্গল, এ সব ভয়াবহতার মধ্যেই শেষমেশ জীবনযুদ্ধে জয়।


শনিবার দুপুরে রায়দিঘির নগেন্দ্রপুর থেকে ৯ জন মৎস্যজীবী সুন্দরবনের খাঁড়িতে মাছ ধরতে যাওয়ার উদেশ্যে বের হয়েছিলেন। বিদ‍্যধরী নদীর চাঁদদোয়ানির মুখের কাছে বিকেলের দিকে প্রবল ঝড়ের সম্মুখীন হন তাঁরা। আচমকাই উল্টে যায় নৌকাটি। প্রাণ বাঁচাতে সাঁতরে পাড়ে উঠে গাছের উপর আশ্রয় নিয়েছিলেন।  কোনওক্রমে, সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন সকলে। তাও খুব সহজ ছিল না। জলে কুমীরের ভয়, এদিকে পাড়ে বাঘের আতঙ্ক। প্রাণ বাঁচাতে দু'দিন গাছের উপরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন এই ৯ মৎস্যজীবী। শেষমেশ সোমবার পরিবারকে খবর দিতে পারেন তাঁরা।  এরপর রায়দিঘির দমকল এলাকা থেকে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে জীবিত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করেন।


আরও পড়ুন: Hooghly: গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে জলযন্ত্রণা হুগলির শ্রীরামপুর শহরে


শরৎ পেরিয়ে দোরগোড়ায় হাজির হেমন্ত। তবুও যেন বর্ষা-বিদায়ের বালাই নেই। অক্টোবরের শেষেও, বৃষ্টিতে ভিজছে দক্ষিণবঙ্গ। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দিনভর বৃষ্টি। পুজোয় ২-৩দিন রেহাই দিলেও, তার আগে পড়ে, ভাসিয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। এবার লক্ষ্মীপুজোতেও দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগ। আজ কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।  দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃষ্টির সঙ্গেই বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।


আরও পড়ুন: Weather Update: লক্ষ্মীপুজোতেও দুর্যোগের ভ্রুকুটি, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস