রঞ্জিত হালদার ও সোমনাথ মিত্র, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের বিতর্কিত মন্তব্য। আবার শিরোনামে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। এবার আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। তৃণমূলের নামে খারাপ ভাষা ব্যবহার করলে হাত-পা গুঁড়ো করার হুঁশিয়ারি দিলেন আরাবুল ইসলাম। 


ভাঙড় বারবার শিরোনামে এসেছে রাজনৈতিক হিংসার জন্য। কখনও আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ। কখনও আবার তৃণমূলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। তার মাঝেই আইএসএফ-এর কাছে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রটি খুইয়েছে তৃণমূল। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে আসায় আপাতত সেখানে দলের কোন্দল মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সওকত মোল্লাকে। 


কী বলেছেন আরাবুল?
আরাবুল ইসলাম বলেন, 'যাঁরা বলছে সওকত মোল্লাকে ধার করে এনে আরাবুল পচা নেতা এখানে লড়াই করছে...এই ধরনের ভাষা যাঁরা ইউজ করছে সে গ্রামের মধ্যে ঢুকে থাকলেও তাঁকে ধরে এনে হাত-পা গুঁড়ো করে দিতে হবে।' দিনসাতেক আগেও স্থানীয় বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে তোপ দেগেছিলেন আরাবুল ইসলাম। এ বার নৌশাদের দলের নেতাদের হাত-পা গুঁড়ো করার হুঙ্কার দিলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক।


মামলার হুঁশিয়ারি নৌশাদের:
আরাবুলের কথা নিন্দা করে পাল্টা মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌশাদ সিদ্দিকি। ভাঙড়ের ISF বিধায়ক বলেন, 'যেভাবে আরাবুল তাঁর কর্মীদের উস্কানি দিচ্ছেন, তাতে পুলিশের সুয়োমোটো কেস করা উচিত। দরকারে আমরা কোর্টে যাব।'


পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল-আইএসএফ বাগযুদ্ধে ক্রমশই তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়ের মাটি। মঙ্গলবার সন্ধেয় চালতাবেড়িয়ার তৃণমূল কর্মী সরিফুল মোল্লার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, ভেঙে পড়ে বাড়ির সামনের অংশের দেওয়াল। উড়ে যায় অ্য়াসবেস্টাসের চালের একাংশ। বিস্ফোরণে আহত হন তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী রোশেনারা বিবি। এই ঘটনায় নৌশাদ সিদ্দিকির দলকে দায়ী করে সুর চড়ায় তৃণমূল। আরাবুলের দাবি, 'নৌশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে যাঁরা আছে তাঁরা হয় ছাগল চোর, মুরগি চোর, গরু চোর, আর না হলে তাঁরা নিশাচর প্রাণি...আমি পুলিশকে বলব, অবিলম্বে এই গন্ডগোলের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের অ্যারেস্ট করতে হবে, না হলে থানা ঘেরাও করব।' পাল্টা নৌশাদ সিদ্দিকির তোপ, 'তৃণমূলের সত্য তুলে ধরলেই তৃণমূলের নেতারা লজ্জিত হয়ে যায়। বালি পাচার, কয়লা পাচার, গরু পাচার, চাকরি বিক্রি, স্ক্যামের বিরুদ্ধে কথা বললেই মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না।'


২০২১-এ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ভাঙড়ে, আইএসএফ-এর কাছে হেরে যায় তৃণমূল। এরপর থেকেই দুই দলের মধ্যে লাগাতার চাপানউতোর চলছে ভাঙড়ে। প্রায়শই তৈরি হচ্ছে সংঘাতের পরিস্থিতি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুই শিবিরের টক্কর ক্রমেই তীব্র আকার নিচ্ছে। 


আরও পড়ুন: শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে বিশেষভাবে উপকারী নারকেল, কীভাবে ব্য়বহার করবেন?