রঞ্জিত হালদার, ভাঙড়: এ বার ভাঙড়ে শ্যুটআউট। ভরসন্ধেয় জনবহুল এলাকায় জমি ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি (Bhangar Shootout)। গুলিবিদ্ধ আনসার মোল্লাকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর হাতের ওপরের অংশ থেকে পিঠের দিকে তিনটি গুলি লেগেছে। অভিযুক্ত নুর মহম্মদ মোল্লার বিরুদ্ধে জমি-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে (South 24 Parganas News)। ডেকে নিয়ে গিয়ে তিনি গুলি চালান বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
কাঁঠালবেড়িয়ায় স্কুলের মাঠে গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধেয়, জমি ব্যবসায়ী আনসার মোল্লাকে কথা বলার অছিলায় ফোন করে কাঁঠালবেড়িয়ায় স্কুলের মাঠে ডাকেন নুর মহম্মদ। সেখানে একজনের বাইকে চড়ে আসেন নুর মহম্মদ। এর পর কথা বলতেই বলতেই আনসারের দিকে গুলি চালান নুর মহম্মদ। আনসার পালাতে গেলে, তাঁর পিঠে গুলি লাগে।
নুরের বিরুদ্ধে রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধ আনসার মোল্লাকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর হাতের উপরের অংশে ও পিঠের দিকে তিনটি গুলি লেগেছে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি চালানোর এই ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্কও।
কিন্তু, হামলার নেপথ্যে কী কারণ? স্থানীয় সূত্রে দাবি, জমি বিক্রির নামে আনসারের এক আত্মীয়কে প্রতারণা করেন অভিযুক্ত। হাতিয়ে নেন মোটা টাকা। এই নিয়ে মধ্যস্থতা করতে গেলে নুর মহম্মদের আক্রোশের মুখে পড়েন আনসার। এর পরই মঙ্গলবার হামলা হয় আনসারের ওপর।
ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না অভিযুক্তের। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরাবুল ইসলামের দাবি, অভিযুক্ত নুর আইএসএফ-এর সঙ্গে যুক্ত
এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। শ্যুটআউটের নেপথ্যে আইএসএফের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। আরাবুল ইসলামের দাবি, অভিযুক্ত নুর আইএসএফ-এর সঙ্গে যুক্ত। আহত ব্যবসায়ী তৃণমূলের কর্মী। আইএসএফ নেতা রাইনুর হক যদিও জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। হামলার নেপথ্যে জমি বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণ, খতিয়ে দেখছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।