হিন্দোল দে, ভাঙড়: অতীতের অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের আগে ভাঙড়ে (Bhangar Clash) ১৪৪ ধারা জারি। আজ এবং ১২ অগাস্ট ভাঙড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হবে। সেই কারণেই ১৩ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে।


কোথায় কোথায় ১৪৪ ধারা:
পোলেরহাট ১ ও ২, ভোগালি ১ ও ২, চালতাবেড়িয়া, ভগবানপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। ৭ পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র পোলেরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েতে জয়ী আইএসএফ। বাকি ৬ গ্রাম পঞ্চায়েতেই জিতেছে তৃণমূল। মনোনয়ন থেকে গণনা, দফায় দফায় অশান্তির সাক্ষী থেকেছে ভাঙড়। পঞ্চায়েত ভোট  (Panchayat Election) ঘিরে শুধুমাত্র ভাঙড়েই খুন হয়েছেন ৭ জন।


পঞ্চায়েত ভোটে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে এই এলাকাগুলিতে তাণ্ডব চলে। খুন, গুলি-বোমাবাজি, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভোট লুঠ, ব্যালট ছিনতাই, এমন একাধিক ঘটনা ঘটে। তার প্রেক্ষিতেই এবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। 


পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত এমনই সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে ভাঙড়। বেশ কয়েকদিন ১৪৪ ধারা জারি থাকার পর, সম্প্রতি ফিরেছে শান্তি। ভাঙড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে রয়েছে উত্তেজনা। ভোটের সময়ের কথা ভেবে ফের সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবার ১৪৪ ধারা জারির পর থেকেই এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা।


আগের অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগেই ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে ১৪৪ ধারা জারি করল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার ভোর থেকে ১৩ অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত এই ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা শানপুকুর, পোলেরহাট ১, পোলেরহাট ২, ভোগালি ১, ভোগালি ২, চালতাবেড়িয়া ও ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে ISF। 


অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে দফায় দফায় অশান্ত হয়েছিল এই ভাঙড় দু নম্বর ব্লকেরই বিভিন্ন এলাকা। খুন, গুলি-বোমাবাজি, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভোট লুঠ, ব্যালট ছিনতাই, এমন একাধিক ঘটনা ঘটে।অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে দফায় দফায় অশান্ত হয়েছিল এই ভাঙড় দু নম্বর ব্লকেরই বিভিন্ন এলাকা। একে অপরের দিকে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল ও আইএসএফ। হিংস বিধ্বস্ত ভাঙড় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। বোর্ড গঠনে কি অশান্তি রোখা যাবে? রয়েছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন: কীভাবে চাকরি পেয়েছেন? বাঁকুড়ার ৭ জন শিক্ষকের জন্য প্রশ্নমালা তৈরি সিবিআইয়ের